1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
পুঁজিবাজারে একের পর এক রেকর্ড!
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পিএম

পুঁজিবাজারে একের পর এক রেকর্ড!

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বাজারে পতনের রেকর্ড গড়ছে পুঁজিবাজার। এক বা দুই বছর আগে যেখানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকের রেকর্ড পরিমাণ উত্থান হয়েছিল, বাজার মূলধন সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল, সেখানে মাত্র এক বা দুই বছরে বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক কোনো সংবাদ বা দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন না হলেও বাজার পতনের রেকর্ড হচ্ছে। বাজারের এই রহস্যময় আচরণ সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে বুঝে ওঠা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। কেউ বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কীভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটা বোঝাও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে গেছে। তারা আসলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, নাকি বাজারকে নিয়তির ওপর ছেড়ে দিয়েছে-সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়েছেন, যার কারণে পতনে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে পুঁজিবাজার।

বাজর বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের সর্বোচ্চ অবস্থান ছয় হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে উঠলেও মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে সূচক এখন চার হাজার ৪১৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। কোনো কারণ ছাড়াই দুই বছরের মধ্যে সূচক নেমে গেছে প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক হাজারের নিচে ৯৯৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। যা প্রায় গত সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই সূচকটি ৯৯২ পয়েন্টে নেমেছিল। অথচ ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ সালে কোম্পানিটি তার সর্বোচ্চ অবস্থান এক হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে উঠেছিল। এছাড়া ব্ল– চিপ বা সবচেয়ে মৌলভিত্তির কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৪ পয়েন্টে উঠলেও এখন এক হাজার ৫০৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সূচকটির অবস্থান প্রায় সাড়ে চার বছর পেছনে চলে গেছে। ২০১৫ সালের ৪ঠা মে এই সূচকটি ১৫০৫ পয়েন্টে নেমেছিল।

ডিএসইর বাজার মূলধন ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি সর্বোচ্চ চার লাখ ২৮ হাজার ৫০৯ কোটিতে ওঠার রেকর্ড গড়লেও বর্তমানে তা তিন লাখ ৩৮ হাজার ২১ কোটিতে নেমেছে। দুই বছরের কম সময়ে বাজার মূলধন কমেছে ৯০ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা, যা ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বরের পর সর্বনিম্ন। এভাবে পতন চলতে থাকলে পুঁজিবাজারের কোনো অস্তিত্ব থাকবে কিনা সেটাই সন্দেহ। কারণ পুঁজিবাজারে বড়-ছোট সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী তাদের সঞ্চিত অর্থ কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে মুনাফা করার জন্য। তাদের সে উদ্দেশ্য পূরণ না হয়ে বরং কষ্টে জমানো অর্থ যদি হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, তাহলে এই বাজারে কেন তারা আসবে আর কেনই-বা বিনিয়োগ করবে?

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ