বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের মিশ্রাবস্থায় টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সপ্তাহটিতে ১১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি ৯৮ টাকায়। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি ৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ১১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৬৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স .৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৩৭ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০১ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ২৬৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির , কমেছে ৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৮টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ১ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা টাকার।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই .১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৭টির দর বেড়েছে, ৫৬টির দর কমেছে এবং ১৩৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।