পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জিল বাংলা সুগার মিলসের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। একইসঙ্গে আগামি কয়েক বছরের মধ্যে মুনাফা করা সম্ভব না বলেও জানিয়েছেন।
জিল বাংলা সুগারের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিল বাংলা সুগারের নিট সম্পদ ও সংরক্ষিত আয় ঋণাত্মক। যে কোম্পানিটির পক্ষে আগামি কয়েক বছর মুনাফা করা সম্ভব না। একইসঙ্গে সরকারের সহায়তা ছাড়া উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না।
এদিকে জিল বাংলা কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) অনুযায়ি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ডেফার্ড টেক্স গণনা করেনি। এছাড়া সঠিক ফাইন্যান্সিয়াল রেকর্ডস তৈরী করতে পারেনি। যাতে নিরীক্ষকের পক্ষে ডেফার্ড টেক্স গণনা করে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
কোম্পানির গৃহিত পলিসি অনুযায়ি, দীর্ঘমেয়াদি সম্পদের উপরে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে অবচায় চার্জ করা উচিত। কিন্তু কিছু স্থায়ী সম্পদের উপরে সরল রৈখিক হারে অবচয় চার্জ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। আর জিল বাংলা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা পাওনা দেখালেও এ বিষয়ে নিরীক্ষককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের জিল বাংলায় ৩৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঋণাত্মক রিজার্ভ রয়েছে। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ঋণাত্মক সম্পদের পরিমাণ ৬০৮ টাকা। তারপরেও মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর রয়েছে ২৮.১০ টাকায়।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম