বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এবং দ্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ আইনটি যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দুটি আইন বাতিল করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ২০২২ করা হবে। আইনের খসড়ার বিষয়ে অংশীজন ও জনসাধারণের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। আইনটি প্রকাশের তারিখ ৫ মার্চ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এ মতামত পাঠাতে হবে। এই উদ্যোগটি নিয়েই চলছে গুজব। প্রচারণা চলছে নতুন আইনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ বাজার বাজার ও বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে এই বিষয়ে পরিস্কার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন আইনের ফলে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্থ নয়, বরং শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে চায় সরকার। সেই জন্য বাজারকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে বাজারকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং খসড়া আইনে পরামর্শ দিয়ে এটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করার জন্য অবদান রাখতে পারে।
নতুন আইনের খসড়ায় আট নং অধ্যায়ের ৪৩ নং ধরার ২ নং উপধারায় বলা হয়েছে, আইনের ৩৬ নং ধারা লংঘনকারী ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনিভাবে বা অনৈতিকভাবে আহরিত অর্থ, সিকিউরিটি বা সম্পদ সংশ্লিষ্ট আদালত বাজেয়াপ্ত করিয়া যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এর আদেশ প্রদান করিতে পারিবে,তবে আদেশকৃত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ মোট আর্থিক ক্ষতির দ্বিগুণের কম হইবে না।
এই অংশটুকু নিয়েই চলছে গুজব। বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, খসড়া মানেই তো আইন নয়। এখানে যার যার অবস্থান থেকে মতামত দিতে পারবে। আইনের যেই ধারা বা উপধারা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়, সেগুলো সংশোধনের জন্য মতামত দিতে পারে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সরকার একটি গ্রহণ যোগ্য আইন করবে। যেই আইনের ফলে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়বে।
উল্লেখ, খসড়া আইনে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়ার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য বিশেষ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই তালিকাভুক্ত কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করতে পারবে বিএসইসি। একই সাথে শাস্থির বিধান আগের চেয়ে দিগুন করাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ আনুষঙ্গিক কিছু ধারা সংযোজনের মাধ্যমে এটিকে আরও যুগোপযোগী করা হবে।
অন্যদিকে নতুন আইনে শুধু কমিশনের ক্ষমতা, কাজের পরিধিই বৃদ্ধি ঘটেনি। সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নিয়োগে যোগ্যতার মানদণ্ডও কড়াকড়ি হয়েছে। আগের আইন ও অর্ডিন্যান্সের সঙ্গে নতুন প্রণীত আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ২০২২ অনেকটা পুঁজিবাজারবান্ধব। এতে বাড়ানো হয়েছে কমিশনের কাজের আওতা। নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাও বেড়েছে বহুগুণ। শাস্তির বিধান হয়েছে দ্বিগুণ। তবে নতুন এই আইনেও থাকছে আগের সব কিছুই। এখানে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সময়ের বাস্তবতার আলোকে প্রয়োজনীয় বিধি-বিধানও সংযুক্ত করা হয়েছে।
আগের আইনে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে শুধু কোম্পানি ও সিকিউরিটি মার্কেট সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শিতা অথবা অর্থনীতি, হিসাব রক্ষণ, আইন কিংবা সরকারের বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বেসরকারি ব্যক্তিকে নিয়োগের যোগ্যতা হিসাবে দেখা হতো; কিন্তু নতুন আইনে এ ধরনের নিয়োগে ২০ বছরের অভিজ্ঞতাকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, বাণিজ্য, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন অথবা অর্থনীতি বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী ও সরকারের বিবেচনায় কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কোনো বিষয়ে জ্ঞানসহ কর্মক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ বছর কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বিবেচিত হবে।
এদিকে নতুন আইনে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে যোগ্যতার মানদণ্ড কড়াকড়ি করা হলেও বাড়ানো হয়েছে কমিশনে নিযুক্তদের ক্ষমতা ও সম্মান। অর্থাৎ, কমিশনের চেয়ারম্যানকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর কমিশনাররা ভোগ করবেন সচিবের মর্যাদা, যা আগের আইনে ছিল না।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি এক্সচেঞ্জ, শেয়ারধারক ও কমিশনের কাছে বার্ষিক ও অন্যান্য প্রতিবেদন, কমিশনের পক্ষ থেকে তলব করা কোম্পানির বা এর অধীন কোম্পানির তথ্য, দলিল কিংবা ব্যাখ্যা দাখিল করতে বাধ্য থাকবে বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনসংক্রান্ত শর্ত ও নিয়মাচার বিষয়ে কমিশনের জারি করা আদেশ তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের জন্য পরিপালন করা বাধ্যতামূলক। আলোচ্য ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে কমিশন প্রয়োজন মনে করলে পর্ষদ পুনর্গঠনের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রাথমিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারবে। বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করা যাবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ মার্কেট ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে উপযুক্ত বিবেচনা করলে শুনানি ছাড়াই পর্ষদ পুনর্গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে খসড়ায়।
নতুন আইনে, সিকিউরিটিজের সুবিধাভোগী ব্যবসায় নিষিদ্ধকরণ এবং এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার ও তথ্য উদঘাটনে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা বিএসইসির অন্যতম কার্যাবলি হিসেবে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। আগের আইনে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। খসড়ায় ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন নিরীক্ষকদের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষা সম্পাদন এবং নিরীক্ষকদের কার্যাবলি নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণকে কমিশনের কার্যাবলির আওতায় আনা হয়েছে। একইভাবে এফআরসি ও অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন সম্পদ মূল্যায়নকারীর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন এবং সম্পদ মূল্যায়নকারীর কার্য নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণকে কমিশনের কার্যাবলির আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজার আগের তুলনায় বেশ বড়। অস্থিরতাও বেশি। লোকচক্ষুর অন্তরালে দিনের পর দিন চলছে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর প্রতারণা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুঁজিবাজার। অথচ এর বিপরীতে ওই পুরোনো আইন ও অর্ডিন্যান্স বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকটাই অকার্যকরে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া আগের আইন ও অর্ডিন্যান্স দুটিই খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরের। ধারা-উপধারাও কম, যা আছে, তাও অনেকটা অস্পষ্ট। ফলে বাস্তবিক প্রয়োগ ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রায় সমস্যায় পড়তে হতো। তাই অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বৈশ্বিক বাস্তবতার বিবেচনায় নিয়ে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে সরকার এই নতুন আইন তৈরি করেছে। এই আইন এতটাই স্পষ্ট ও কম্প্রিহেনসিভ, এটি বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী হবে। কমিশনও স্বাধীনভাবে আরও ক্ষমতা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।
৩১ পৃষ্ঠার নতুন এই খসড়া আইনে ১১টি অধ্যায়ে ৬৬টি ধারা এবং দেড় শতাধিক উপধারা রয়েছে। এতে পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শৃঙ্খলায় রাখার নিয়ম-কানুন, বিধি-নিষেধ, কমিশনের আওতাধীন কার্যাবলি, পরিস্থিতি বোঝে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর দণ্ড আরোপ ও কার্যকরের ক্ষমতা সুস্পষ্ট করা হয়েছে।
এতে অধ্যায় ৭-এর ৩৬ ধারায় বেআইনিভাবে সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন—কারসাজি, প্রতারণা, কৌশল, ফন্দি, চাতুরি, শঠতা, প্ররোচনা, শেয়ারের মূল্যকে প্রভাবিত করা, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে অপকৌশল অথবা মিথ্যা তথ্য প্রদান ইত্যাদি। আর আইনের ৪৩ ধারায় ৮ম অধ্যায়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের দ্বারা ৩৬-এর কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন করেন, লঙ্ঘন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, বা লঙ্ঘনে প্ররোচনা বা সহায়তা করেন। এক্ষেত্রে কমিশন যদি ওই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে মামলা দায়ের করে তাহলে সংশ্লিষ্ট আদালত এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির দ্বিগুণ আর্থিক সুবিধা প্রদানের আদেশ দিতে পারবেন।
এছাড়া কোনো ডেরিভেটিভের মূলগত ইন্সট্রুমেন্ট বা সিকিউরিটির মূল্য কিংবা সূচকে প্রভাবিত করা, কোম্পানির কর্তৃত্ব গ্রহণ বা একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সিকিউরিটির মূল্য বা বিনিময় অনুপাতকে প্রভাবিত করা, কোম্পানি ও এর সাবসিডিয়ারির আর্থিক বিবরণীতে বিভ্রান্তিমূলক অসত্য বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ, আয় বা ব্যয়, লাভ বা লোকসান, সম্পদ বা দায় কম বা বেশি দেখানো বা গোপন রাখা কিংবা কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রকাশ না করে সিকিউরিটির দরকে প্রভাবিত করা, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিরীক্ষক কর্তৃক বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য বা মিথ্যা তথ্যসহ প্রতিবেদন দেয়ার মাধ্যমে সিকিউরিটির মূল্যকে প্রভাবিত করা, কোনো স্টক ব্রোকার বা স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার কিংবা অন্য কোনো বাজার মধ্যস্থতাকারী বা এর কোনো পরিচালক বা কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা নিরীক্ষক বা সম্পদ মূল্যায়নকারী অসদুপায়ে বা কারসাজির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো সিকিউরিটি ক্রয়, বিক্রয়, অর্জন, অধিগ্রহণ বা কর্তৃত্ব গ্রহণে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আলোচ্য সিকিউরিটির মূল্যকে প্রভাবিত করা, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি কর্তৃক বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য বা মিথ্যা তথ্য, আর্থিক বিশ্লেষণ বা রেটিং প্রকাশের মাধ্যমে কোনো সিকিউরিটির মূল্যকে প্রভাবিত করা, কোনো ইস্যু ব্যবস্থাপক বা অবলেখক বা সম্পদ মূল্যায়নকারী বা বিনিয়োগ উপদেষ্টা বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য বা মিথ্যা তথ্য, আর্থিক বিশ্লেষণ বা ডিউ ডিলিজেন্স সার্টিফিকেট প্রদান বা প্রকাশের মাধ্যমে কোনো সিকিউরিটির ইস্যু মূল্যকে প্রভাবিত করার বিষয়টি খসড়ায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আলোচ্য ৩৬ ধারার বিধান লঙ্ঘনের বিষয়ে ৪৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের ৩৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেন বা লঙ্ঘনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা লঙ্ঘনে প্ররোচনা বা সহায়তা করেন এবং কমিশন যদি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করে মামলা করে তবে ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া ৩৬ ধারার বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনিভাবে বা অনৈতিকভাবে আহরিত অর্থ, সিকিউরিটি বা সম্পদ সংশ্লিষ্ট আদালত বাজেয়াপ্ত করতে বা বাজেয়াপ্ত করে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে আদেশকৃত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ মোট আর্থিক ক্ষতির দ্বিগুণের কম হবে না বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যমান অধ্যাদেশে এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫ লাখ অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।