শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেডের বিরুদ্ধে বেআইনী ভাবে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির জিংক ট্যাংক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ঘটনাটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হলেও দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়নি ন্যাশনাল টিউবস। কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিয়ম অনুসারে, যে কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের আধা ঘন্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করতে হয়। পরবর্তীতে তা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে সংবাদপত্রেও প্রকাশ করতে হয়।
জানা গেছে, প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি ২০১৭ সালে জিংক ট্যাংক চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে এটি চালু না করা হলেও গত ২০ দিন আগে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানি থেকে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য কাউকে জানানো হয়নি, যা নিয়ম বহির্ভূত।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব আবুল কালাম আজাদের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। প্রথমবার তিনি বলেন, জিংক ট্যাংকের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এই ব্যপারে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারবে। পরবর্তীতে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমি এই কোম্পানিতে নতুন। ১ বছর হল জয়েন করেছি।
কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা জানায়, বিভিন্ন কোম্পানির জিংক ট্যাংক সংক্রান্ত কাজ ন্যাশনাল টিউবস থার্ড পার্টির মাধ্যমে করিয়ে থাকে। যার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফা কোম্পানির ফান্ডে জমা করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯) ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ইপিএস হয়েছে ০.১৭ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ০.৭২ টাকা। কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭৫.৪৭ টাকায়। এছাড়া ন্যাশনাল টিউবস ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম