পুঁজিবাজারের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারের জন্য ফান্ডের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ওই ফান্ডের প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত চেয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসিতে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের সাথে বৈঠকে ফান্ডের বিষয়ে আলোচনা করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বিএসইসি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারের মন্দা কাটাতে সরকারের কাছে স্টেকহোল্ডাররা যে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে, তা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া খুব শীঘ্রই এ নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামতের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে শেয়ারবাজারের সহযোগিতায় ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার জন্য লিখিত প্রস্তাব দেয়। সেখানে ৬ বছরের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। যা শেয়ারবাজারের সকল মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরন করা হবে। এই টাকার বিপরীতে ২য় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম বছর সুদ চার্জ না করার আহ্বান করা হয়েছে।
১০ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র পুঁজিবাজারের জন্যই ব্যবহার করা হবে বলেও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। যা একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। একইসঙ্গে ওই টাকার ব্যবহার নিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানানো হয়।
শেয়ারবার্তা / আনিস