1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
গ্রামীনফোনের সুখবর: স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম

গ্রামীনফোনের সুখবর: স্বস্তিতে বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
Grameen Phone

দীর্ঘদিন পর সিম বিক্রি নিয়ে গ্রামীন ফোনের যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা কাটতে শুরু করেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির সিম বিক্রির ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। আর আংশিক জটিলতা কেটে যাওয়ায় এ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরণের স্বস্তি বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশের বৃহত্তম এ টেলিকম অপারেটরকে অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিম বিক্রিতে আগে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, সেটাকে স্পষ্ট করেছি আমরা। তাদের হাতে থাকা অব্যবহৃত সিম তারা বিক্রি করতে পারবে। তবে নতুন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না।

ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সংযোগে গ্রাহকদের ‘মানসম্মত সেবা দিতে না পারার’ কারণ দেখিয়ে গত ২৯ জুন গ্রামীণফোনের নতুন মোবাইল ফোন সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিটিআরসি।

সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিম সংখ্যায় এর প্রভাব পড়েছে। গত জুলাইতে অপারেটরটির সক্রিয় সিম ৭ লাখ ২০ হাজারটি কমেছে।

বিটিআরসির হিসাবে, জুনে গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিম ছিল ৮ কোটি ৪৮ লাখ, যা জুলাইতে নেমে আসে ৮ কোটি ৪০ লাখ ৮ হাজারেটিতে।

অপরদিকে গ্রামীণফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মোবাইল অপারেটর রবি-আজিয়াটা ও বাংলালিংকের সক্রিয় সিমের সংখ্যা জুলাইয়ে বেড়েছে। রবির সিম সংখ্যা জুনের ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজারটি।

অন্যদিকে জুলাইয়ে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজারটি; যা জুন মাসে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজারটি।

বিটিআরসির সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, জুলাই মাসে দেশে মোট সক্রিয় মোবাইল সিম ছিল ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজারটি।

বিটিআরসির নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৫ মাস বা এর বেশি সময় অব্যবহৃত থাকা কোনো সিম অন্য কোনো গ্রাহকের কাছে ফের বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। এক্ষেত্রে তিন মাস সময় দিয়ে ওই গ্রাহকদের নম্বরের তালিকা বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট অপারেটরের ওয়েবসাইট এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে প্রকাশ করতে হবে।

তিন মাসের মধ্যে চালু করা না হলে ওই সিম স্থায়ীভাবে ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিতে পারে অপারেটর। অর্থাৎ ১৮ মাস বা এর অধিক সময় অব্যবহৃত থাকার পর ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাওয়া সিম অন্যদের কাছে বিক্রির সুযোগ তৈরি হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ ধরনের অব্যবহৃত সিম বিক্রির সুযোগ দিয়েছে গ্রামীণফোন টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক হোসেন সাদাত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমাদের কাছে অনেকদিন ধরে অব্যবহৃত যেসব নম্বর বন্ধ রয়েছে তা বিক্রির পুনঃঅনুমোদন দেয়ায় বিটিআরসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করণে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ