1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজারে ৪২ ব্যাংকের বিনিয়োগ ২২ হাজার কোটি টাকা
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

পুঁজিবাজারে ৪২ ব্যাংকের বিনিয়োগ ২২ হাজার কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৬ মে, ২০২২
largest-banks

দেশের পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজ রেগুলেটর আইন অনুসারে, চলতি বছরের ১০ মার্চ পর্যন্ত ৪২টি ব্যাংক থেকে মোট ২২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফেব্রুয়ারি মাসে বিনিয়োগ ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে পুঁজিবাজারে দেশের ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে ৪.৩৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারের জন্য এক্সপোজার ছিল মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা। যা বাজার মূল্য অনুসারে এই সময়ের মধ্যে ৬.২৩ শতাংশ কম। ১০ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর মূল মূলধন ছিল ৭৮,৮০১ কোটি টাকা, যা ফেব্রুয়ারি শেষে ছিল ৮২,১২৯ কোটি টাকার বেশি। ২০২১ সালে ৪০ ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে ৮৮৮ কোটি টাকা লাভ করেছে, এবং দুটি ব্যাংক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএফআইসি ব্যাংক পু্ঁজিবাজার থেকে বছরের সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে।

৪২টি ব্যাংক তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে ৭০৮৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ৪৯৬৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তালিকাভুক্ত চিরস্থায়ী বন্ডে ৯৫০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ১৮৪৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ে ব্যাংকগুলোর বিও অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ ছিল ৩১৩ কোটি টাকা।

বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক এবং সীমান্ত ব্যাংকের পুঁজিবাজারের এক্সপোজার ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। একই সাথে পাঁচটি ব্যাংক সিটিজেন ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক’র পুঁজিবাজার কোন এক্সপোজার নেই।

২০২১ সালে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে সমস্ত ব্যাংক মিলে ৪৩১ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছে।

চলতি বছরের ৯ মার্চ বিএসইসি পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর এক্সপোজারের সর্বশেষ অবস্থান চেয়েছিল এবং সমস্ত ব্যাংককে ক্রমহ্রাসমান স্টক মার্কেটকে সমর্থন করার জন্য নতুন বিনিয়োগ করতে বলেছিল।

যেসকল ব্যংকের ২৫ শতাংশের নিচে পুঁজিবাজারে এক্সপোজার রয়েছে এমন ব্যাংকগুলোকে নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের এক্সপোজার ২ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবং তহবিল সংগ্রহ ও বাজারে বিনিয়োগের প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য এখনও যেসব ব্যংক বিশেষ তহবিল গঠন করেনি তাদেরকে তহবিল গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ৯ মার্চ ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সফট ঋণ নিয়ে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই ফান্ডটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধ থাকবে এবং ব্যাংকগুলো ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত ঋণের সুবিধা নিতে পারবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ