1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
সোনালি পেপার সুখবর দিলো বিনিয়োগকারীদের
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ এএম

সোনালি পেপার সুখবর দিলো বিনিয়োগকারীদের

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
DSE-BSEC

ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানি সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে। কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) এই অনুমোদন দিয়েছে। এক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন ও স্টক এক্সচেঞ্জের বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তালিকাচ্যুত হওয়ার ১০ বছরেরও বেশি সময় পর মূল বাজারের লেনদেন ব্যবস্থায় ফিরতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।

এর আগে ওয়াটা কেমিক্যাল ও আলিফ টেক্সটাইল ওটিসি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্ত হয়। জানা গেছে, ওটিসির যেসব কোম্পানি ধারাবাহিক মুনাফা ও লভ্যাংশ দিচ্ছে, তাদের জন্যও স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে এসইসি। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব কোম্পানি যে কারণে তালিকাচ্যুত হয়েছিল, এখন সেসব সমাধান করেই মূল বাজারে ফিরতে পারবে। এজন্য প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জন্য পাবলিক ইস্যু বিধিমালা ও স্টক এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসকে বিভিন্ন শর্ত থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে।

কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ, ধারাবাহিক লোকসান, নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান ও এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) না করা, কাগুজে শেয়ার ইলেকট্রনিকে রূপান্তর না করাসহ বিভিন্ন কারণে ২০০৯ ও ২০১০ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজার থেকে মোট ৭২টি কোম্পানি তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি মূল বাজারে ফেরত এসেছে। বর্তমানে ওটিসিতে মোট ৬৫ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে সোনালি পেপার মূল বাজারে ফেরত আসছে।

সোনালি পেপার মিলসের পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে এ কোম্পানির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪ পয়সা। আর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হচ্ছে (ইপিএস) ৮৬ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য হচ্ছে ৩৩২ টাকা ৭১ পয়সা। সোনালি পেপারের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার গতকাল ২২১ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। সর্বশেষ এ কোম্পানির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে ২৪০ টাকায়।

মূল বাজারে ফিরতে সোনালি পেপার মিলসকে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকার বাধ্যবাধকতা, সর্বশেষ তিন হিসাব বছরে পরিচালন কার্যক্রমে নিট তারল্য প্রবাহে ধনাত্মক থাকা ও পরিচালকদের ডিউ ডিলিজেন্স সার্টিফিকেট, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পৃথক নিঃশর্ত অঙ্গীকারনামা প্রদান থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএসইসি। শিডিউলের অধীন এনেক্সার ১০ ও এনেক্সার ১২তে ফরম্যাট অব ডিক্লারেশনে পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন শর্ত থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোম্পানির ইনফরমেশন ডকুমেন্ট প্রকাশে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগের বাধ্যবাধকতা থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শেয়ার নিষ্পত্তি বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশনের ১২ ও ১৩ ধারায় থাকা বিভিন্ন শর্ত থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তবে মূল বাজারে ফিরতে চাইলে কোম্পানির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ইনফরমেশন ডকুমেন্টে তথ্য প্রদান করতে হবে। যদিও এজন্য কোনো ইস্যু ম্যানেজারও নিয়োগ দিতে হবে না। ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফিরতে ইচ্ছুক অন্যান্য কোম্পানিও সোনালি পেপারের মতো অব্যাহতি পাবে বলে এসইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এদিকে বিভিন্ন শর্ত থেকে অব্যাহতি দিলেও ওটিসি থেকে আসা কোম্পানিগুলো মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন শেয়ার দর কীভাবে মূল্যায়ন হবে, তা নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত সমাধান হয়েছে। এসইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে- তালিকাচ্যুতির সময়ে কোম্পানির যে শেয়ার দর ছিল, এখন মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিন সেই দর থেকেই কেনাবেচা হবে।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ