ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর আগে টানা তিন কার্যদিবস উভয় পুঁজিবাজারে সূচক পতনমুখী ছিল। ফলে, চলতি সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চারটি ছিল পতনমুখী।
এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। বিশেষ করে, ডিএসইতে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে, ডিএসইতে লেনদেন ধারাবাহিকভাবে অবনতি হচ্ছে।
একই সঙ্গে উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৪১.২৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়া সূচক ২.৬১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৫৩.৬০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫১.৫৯ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫২টির। এদিন ডিএসইতে ৫১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৫ কোটি টাকা বেশি। এর আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল ডিএসইতে ৪৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে প্রায় এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে ডিএসইর লেনদেন।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসইএক্স ৩২.১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৭০৬.৮০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সার্বিক সিএএসপিআই সূচক ৫৪.৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫১২.৪২ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ৬.৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩৩.৫২ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮টির। দিন শেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি টাকা কম।