1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ইসলাম অক্সিজেনের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ
রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

ইসলাম অক্সিজেনের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
islam oxygen

মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে গ্যাস এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেডের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের মূসক বা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে । ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি প্রকৃত বিক্রয়তথ্য গোপন করে মূসক দাখিল করে। মূসক দাখিল পত্রে কোম্পানিটি কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করে ৬১ কোটি পনেরো লাখ তিরানব্বই হাজার ২২০ টাকা মূসক ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুজিবাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠি থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মেসার্স ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরের মাসিক দাখিলপত্রের সাথে কর অঞ্চল – ৭ থেকে পাঠানো অডিট ফার্মের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা নিরীক্ষা প্রতিবেদন আড়াআড়িভাবে যাচাই করা হয়। এক্ষেত্রে অডিট ফার্মের বার্ষিক রিপোর্টে প্রদর্শিত মূল্যের সাথে মূসক সংক্রান্ত দাখিল পত্রে ব্যাপক অসামঞ্জ্যসতা ধরা পড়েছে।

শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রসপেক্টাসে আর্থিক বিবরণী দেওয়া হয়েছে তার সাথে স্থানীয় ভ্যাট কার্যালয়ে দাখিলকৃত মাসিক রিটার্নের তথ্যের অমিল পাওয়া গেছে।

অডিট ফার্ম কর্তৃক প্রণীত বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং মাসিক দাখিল পত্রে উল্লিখিত বিক্রয় তথ্যে আড়াআড়ি যাচাই করে দেখা যায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮ কোটি ৭১ লাখ ৮৯হাজার ৯৫৪ টাকা পরিহারকৃত মূসক ছিলো। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যার পরিমাণ ১০ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ১৪৬ টাকা। পরের অর্থবছর অর্থাৎ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যার পরিমাণ আরও বেড়ে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৮টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৩কোটি ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭২১ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ১৬ কোটি ৯১ হাজার ৬১ হাজার ৭০০ টাকা। উল্লেখিত তথ্যমতে ৬১কোটি ১৫ লাখ ৯৩হাজার ২২০ টাকার মূসক পরিহার করেছেন। প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে মূসক পরিহার করেছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রধান রাকিব হোসেনের সাথে। তিনি এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি বিভিন্ন হাসপাতাল এবং শিল্পের গ্যাস বিক্রেতা হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে চাঁদা সংগ্রহের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে এর প্রতিটি শেয়ারের দর নির্ধারণের জন্য গত বছর ২৫ অক্টোবর রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে রোড শো’ করেছে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ২৬.৪৭ শতাংশ শেয়ার ছাড়ছে।প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬.৭৯ শতাংশ। পরিচালকদের হাতে শেয়ার থাকছে ৬৮.৭৪ শতাংশ। কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে জনতা ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ