বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ও ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর মধ্যে ব্যাংক এশিয়া ৫০০ কোটি টাকার পারপেচুয়াল বন্ড ছাড়বে। ন্যাশনাল পলিমার ছাড়বে ৩০০ কোটি টাকার বন্ড। কোম্পানি দুটির বন্ড ছাড়ার এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে ৮১৩তম কমিশন সভায় গতকাল এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাংক এশিয়ার ৫০০ কোটি টাকার কুপন বিয়ারিং কন্ডিশনাল কনভার্টেবল পারপেচুয়াল বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বন্ডটির ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বাকি ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ৫ হাজার টাকা। কুপন হার ৬ শতাংশ (ফ্লোর) থেকে ১০ শতাংশ (সিলিং), যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, ট্রাস্ট, সংগঠন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হবে। বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে এডিশনাল টায়ার ওয়ান মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে ব্যাংক এশিয়া। প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাইভেট অফারের ক্ষেত্রে এ বন্ডের ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন যথাক্রমে ১ কোটি টাকা ও ৫ হাজার টাকা।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটির ইস্যু ম্যানেজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। এছাড়া আন্ডাররাইটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ব্যাংক এশিয়ার অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬১। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৫৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৯৮, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ২১ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচ বছর মেয়াদি ৩০০ কোটি টাকার বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হলো এটি ট্রান্সফারেবল, রিডিমেবল, নন-কনভার্টেবল ও আনসিকিউরড জিরো কুপন। এ বন্ডের অভিহিত মূল্য ৪০৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বন্ডটির ইউনিটপ্রতি ইস্যু মূল্য ১ হাজার টাকা। বন্ডটির ৩০০ কোটি টাকাই প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। এ বন্ডের ইয়েল্ড টু ম্যাচিউরিটি ৮ শতাংশ। এ বন্ডের মাধ্যমে ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ৩ হাজার টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছে রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেড। এছাড়া বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে। কোম্পানি পরিচালকদের ব্যক্তিগত নিশ্চয়তা দেয়ার শর্তে জিরো কুপন বন্ডের এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন।