আগের দিন ব্যাংক খাতে বড় অঙ্কের লেনদেনের পাশাপাশি শেয়ারদর বেড়েছিল ৩/৪টি ব্যাংকের শেয়ার দর সার্কিট ব্রেকারের প্রায় সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হতে দেখা যায়। এদিন ব্যাকখাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে তেজিভাব থাকায় অন্যান্য সব খাতের শেয়ার দরে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু একদিন পরেই ব্যাংক খাতে সংশোধন নেমে আসে। ফলে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বড় পতনের পথে ফিলে যায় উভয় পুঁজিবাজার।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার সূচক, বেশিরভাগ শেয়ারদর ও লেনদেনে পতন হয়। এদিন ব্যাংক খাতে শেয়ার দর পতনের পাশাপাশি লেনদেনও অর্ধেকে নেমেছে। মাত্র দুটি ব্যাংকের দর বেড়েছে। এ দুটি ব্যাংক হচ্ছে আল-আরাফাহ্ ও এক্সিম ব্যাংক। তবে এদিন বেড়েছে বিমা খাত। আর্থিক খাতে লেনদেন না বাড়লেও শেয়ার কেনার চাহিদা ছিল। এছাড়া মাঝারি আকারের দু-একটি খাত ভালো অবস্থানে ছিল।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা বিমা খাতে লেনদেন হয় ২০ শতাংশ বা প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। দর বেড়েছে প্রায় ৫৯ শতাংশ কোম্পানির। সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের সোয়া ১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের আট কোটি ৭৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ৯০ পয়সা। পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে আট কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৮০ পয়সা। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ও নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স। এসব শেয়ারের দর সাত থেকে সোয়া আট শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংক খাতে প্রায় ১৪ শতাংশ লেনদেন হয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ১২ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হলেও ৪০ পয়সা দরপতন হয়। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৪৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্টাইল ক্রাফটের ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ১২ টাকা ২০ পয়সা। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে বস্ত্র খাতের জাহিন স্পিনিং, মতিন স্পিনিং ও তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ। এসব শেয়ারের দর প্রায় ছয় থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে। আর কোনো খাতেই উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়নি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭০ শতাংশ ও প্রকৌশল খাতে ৬২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। আর্থিক খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের সাড়ে ৯ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। এছাড়া বিবিধ খাতে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের সাড়ে ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে চার টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। এসকে ট্রিমসের সাড়ে আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে দুই টাকা ৩০ পয়সা। সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের দর। চলতি মূলধনে ঘাটতির কারণে গত অক্টোবর থেকে মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী জানুয়ারি থেকে কারখানার কার্যক্রম চালুর কথা জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। লেনদেনের শীর্ষে থাকা লাফার্জ হোলসিমের ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা। চামড়াশিল্প খাতে কোনো কোম্পানি দরপতনে ছিল না। ফরচুন শুজের প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দর অপরিবর্তিত ছিল।
শেয়ারবার্তা / হামিদ