অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে নো পাওয়ার, নো পেমেন্ট করছি। এখানে রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো ছিল, সেগুলোর মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে। আমাদের কিছু পাওয়ারপ্ল্যান্ট পাইপলাইনে ছিল, সেগুলোকে আমরা এখন আর অনুমোদন দিচ্ছি না। আটটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এভাবে বাতিল করা হয়েছে, যেগুলো পাইপলাইনে ছিল।’
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
নতুন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের এখানে তারা আরও এক, দুই কিংবা পাঁচ বছর অপারেট করবে। সেজন্য কোনো এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে না। শুধু চার্জ দিতে হবে যখন তাদের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিসিটি কিনব, যে পরিমাণ কিনব সে পরিমাণ চার্জ। এখানে আমরা কোনভাবে লস করার সুযোগ রাখিনি।’
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষের অ্যাফোর্টেবিলিটি কমে গেছে। সেটি বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি এখন সবাই ভালো অবস্থানে আছেন। বিদ্যুতের প্রাইজ বাড়ানো হবে কিনা সে প্রস্তাব এখনো আমাদের কাছে আসেনি, যখন আসবে তখন আপনাদের কাছে সেটি শেয়ার করব এবং আপনারা জানতে পারবেন।’
বৈঠকে চার রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সিলেটের কুমারগাঁওয়ের ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ এক বছর, ফেঞ্চুগঞ্জের ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর, বগুড়ার ২০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর এবং আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে।