পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের রহস্য কি এ নিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে চলছে চুলছোড়া বিশ্লেষণ। মুলত ডিসেম্বর মাসের দরপতনের পেছনে দু ইস্যু কাজ করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। একটি ইস্যু ডিসেম্বর মাসে ৩টি আইপিও কারন অন্যটি ডিসেম্বর মাসে হাউজগুলোর লোন সমন্বয়ের কারনকে দায়ী করছেন।
এছাড়া ও পুঁজিবাজারে এই দরপতনের পেছনে বাজার নিয়ে বিএসইসির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতভিন্নতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। গত ৩০ নভেম্বর দুই পক্ষের বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা না হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে আরও একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে আরও একটি আলোচনার কথা জানানো হয়।
কিন্তু চলতি মাসে বা আগামী জানুয়ারির শুরুতে বৈঠক শেষে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলে জানানো হয়। তবে বৈঠক না হলে পুঁজিবাজার দরপতন থামছে না। মুলত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার নিয়ে আতঙ্কেও কোন কারন নেই বললেও দরপতন থামছে না। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে আবারও সূচকের বড় পতন দেখল বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার দরপতনের প্রসঙ্গে শাকিল রিজভী বলেন, জানুয়ারীতে পুঁজিবাজারে ভাল হবে। বাজার একটু দরপতন হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এখন শেয়ার বিক্রয়ের সময় নয়, ক্রয়ের সময়। মুলত বর্তমান পুঁজিবাজার দরপতনের পেছনে দুইটি ইস্যু কাজ করছে। এর মধ্যে একটি ইস্যু বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে লোনের এডজাস্টেও কারনে বাজার একটু দরপতন হয়েছে। আর একটি বড় কারন ৩টি আইপিও মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংকের বড় আইপিও চলছে। এতে কিছুটা তারল্য সংকট বিরাজ করছে। আর ২ /১ দিন গেলে বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় বিরাজ করছে বলে তিনি মনে করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে শাকিল রিজভী জানুয়ারীতে বাজার ভাল হওয়ার কারন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানুয়ারীতে যে পেমেন্ট আসবে। তাতে বাজার দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। ডিসেম্বরে যে সকল কোম্পানির এজিএম হয়েছে তার বেশির ভাগ কোম্পানির লভ্যাংশ জানুয়ারীতে আসবে। এর প্রভাব পড়বে বাজারে।
ফলে বাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের আইপিও ৩০ ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে। তবে এর রিফান্ড জানুয়ারীতে আসবে। ফলে পুঁজিবাজারে জানুয়ারীতে ভিন্ন মাত্রায় দেখা যাবে।