1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
কানা বিল্লাল বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় ভুক্তভোগীর মামলা দায়ের
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

কানা বিল্লাল বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় ভুক্তভোগীর মামলা দায়ের

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পীরগাছা গ্রামের হুশোরখালী মোড়ে ইউনিয়ন নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় কানা বিল্লালের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনী। যে ঘটনা স্বাধীনতার পরে পীরগাছা গ্রামে প্রথমবারের মতো ঘটেছে। অনেকটা জামায়াত-শিবির কাঁয়দায় হামলা চালিয়েছে বিল্লাল বাহিনীর ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী দল। এর পরিপেক্ষিতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তাইজেল হোসেন।

নির্বাচনের পরের দিন (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হুশোরখালীর মোড়ে এই হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তাইজেল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত করা হয়।

বিল্লালের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী বাহিনীতে রয়েছে- মুকুল হোসেন (৩৫), ইসমাইল হোসেন (৪০), দেলোয়ার হোসেন (২৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), মো মানিক (৪৮), মো: আওয়াল (৫২), মো: নিজাম উদ্দীন (৩৪), মো: মেহেদী হাসান (২০), মো: লিখন (২৫), সবুজ (২৫) ও মো: জয়নাল ওরফে জয়না।

বিল্লাল হোসেন টানা ৩ বার ইউনিয়ন নির্বাচনে মেম্বার পদে নির্বাচন করেছেন। এরমধ্যে ১ম বার ব্যর্থ হলে গ্রামের মানুষের মধ্যে সহানুভূতি জাগে। যাতে করে গতবার তিনি জয়ী হন। কিন্তু তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতার কারনে ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবি হয়। এতে করে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন কানা বিল্লাল হোসেন ও তার বাহিনী।

যার আলোকে ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামায়াত-শিবির কায়দায় অতর্কিত হামলা চালান সাধারন মানুষের উপরে। এতে করে তাইজেল হোসেন, হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হন।

এই হামলার ভুক্তভোগী তাইজেল হোসেন বাদী হয়ে গত ১৬ নভেম্বর ঝিনাইদহে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় বাদী জানিয়েছেন, তিনি একজন গরুর খামারী। তিনি গত ১২ নভেম্বর হুশোরখালী মোড়ে বাজার করার উদ্দেশ্য গেলে, মুকুল হোসেন, ইসমাইল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো মানিক, মো: আওয়াল, মো: নিজাম উদ্দীন, মো: মেহেদী হাসান, মো: লিখন, সবুজ ও মো: জয়নাল খুন করার জন্য বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও হাসুয়া নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিল্লালের নির্দেশে মুকুল হোসেন খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে। তবে বাদী সরে যাওয়ায় ওই আঘাত বাম চোখে লাগে। এতে করে বাদী মটিতে পড়ে গেলে অন্যান্য আসামীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে সারা শরীরে আঘাত করে। এছাড়া বাদীর পেটে কেউ কেউ লাথি মারে ও পাড়ায়।

ওইসময় বাদীর পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা কানা বিল্লাল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে একইদিনে বাদীকে ধরাধরি করে মহেশপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ১২ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ