৩০ জুন ২০১৯ হিসাব বছরে একটিভ ফাইন কেমিক্যালস প্রায় ৭১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কিন্তু কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের মাত্র ৫ কোটি টাকা বা ৭ শতাংশের কম মুনাফা শেয়ারহোল্ডারদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ৯৩ শতাংশ মুনাফা কোম্পানিতেই রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পুঁজিবাজারের রীতি-নীতির পরিপন্থী। কোম্পানিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছে।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একটিভ ফাইনের নিট মুনাফা হয়েছে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা হিসেবে মোট ৭১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এরমধ্য মাত্র ২ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা হিসাবে মোট ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ মুনাফার মাত্র ৬.৭৪ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণ করবে কোম্পানিটি। মুনাফার বাকি ৬৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৯৩.২৬ শতাংশ কোম্পানির রিজার্ভে রাখা হবে। এটি পুঁজিবাজারের রীতি-নীতির পরিপন্থী বলে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো সাধারণত মুনাফার ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ আকারে বিতরণ করছে। কোন কোন কোম্পানি মুনাফার ৯০ শতাংশ পর্যন্তও বিতরণ করছে। দু’তিনটি কোম্পানি লোকসান থাকার পরও রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে। কিন্তু কোন কারণ ছাড়া মুনাফার ৭ শতাংশের কম শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ এটি একটি বিরল ঘটনা। তাঁরা বলছেন, এভাবে মুনাফার ৯৩ শতাংশের বেশি কোম্পানির কাছে রেখে দেয়ার পেছনে কোম্পানির পরিচালকদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
শেয়ারবার্তা / আনিস