দেশের পুঁজিবাজার যেখানে যাওয়া উচিত, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পুঁজিবাজার অনেকদূর এগিয়েছে। তবে এখনো এই বাজার ইক্যুইটি নির্ভর। এই বাজারে ডেরিভেটিভসহ বিভিন্ন প্রোডাক্টের অভাব রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রোডাক্ট চালু করতে হবে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ৬ষ্ঠ সিএফএ চার্টার্ড অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট শাহীন ইকবাল ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম। সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোঃ আরিফ খান, মিনহাজ জিয়া, মোঃ মনিরুজ্জামান এবং সোসাইটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের বিকালে কমোডিটি মার্কেট, ডেরিভেটিভসসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালুর বিষয়ে কাজ করছে। কমোডিটি মার্কেট চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেশে এই মার্কেট চালুর জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, বিএসইসি ইতোমধ্যে ৮০টি নতুন ট্রেক অনুমোদন করেছে। নতুন মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ নানা মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। শুধু আগামী এক বছরে পুঁজিবাজারে ৩ হাজার ২০০ যোগ্য জনবল প্রয়োজন। কিন্তু এই জনবল বর্তমানে নেই।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে দক্ষ ও যোগ্য জনবলের ঘাটতি থাকায় সিএফএ চার্টার্ডহোল্ডারদের সামনে অসীম সম্ভাবনার হাতছানি রয়েছে। তারা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা এবং ফিনান্সিয়াল এ্যানালিস্ট হিসেবে পুঁজিবাজার ও ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।