কৃষিবিদ ফিড দেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে পরিচালিত একটি কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। কোম্পানিটি দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মুরগী, মাছ ও গাবাদি পশুর চাহিদা বিবেচনায় রেখে আমরা ৬৬ ধরণের ফিড উৎপাদন করে থাকি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. আলী আফজাল।
চেয়ারম্যান ড. আলী আফজাল বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি অনেকাংশেই কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠান শুরুর পর থেকে আমরা দেশের কৃষক ও কৃষি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে দেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেশের বর্তমান কৃষিজাত খাদ্যের বাজার অনেক বড়। আমরা পোল্ট্রি ফিড, ফিশ ফিড এবং ক্যাটেল ফিড এই ৩ ধরনের খাবার উৎপাদন করি । মুরগী, মাছ ও গবাদি পশুর চাহিদা এবং ধরনের উপর নির্ভর করে আমরা প্রায় ৬৬ ধরণের ফিড উৎপাদন করে থাকি।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, ফিডে অনেকেই টেনারি বর্জ্য, নিষিদ্ধ আ্যান্টিবাইটিকসহ ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করছে, যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । এসব ভেজাল পণ্য উৎপাদন না করে দেশ ও দেশের উন্নয়নের চিন্তা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মত ফিড উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছি।
কৃষিবিদে উৎপাদিত পণ্যের কোয়ালিটি যদি চেক করা হয় তাহলে যে কোনো কোম্পানি থেকে আমাদের পণ্যের মান ভাল উল্লেখ্য করে আলী আফজাল বলেন, কোয়ালিটিতে আমরা নাম্বার ওয়ান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন আমাদের দেশের ফিডের চাহিদা বাড়ছে তাই কৃষকদের সুবিধার্থে মাগুরা ও দিনাজপুরে নতুন কারখানা স্থাপন করতে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তলন করছি। আমরা মাগুরাতে ১০ একর জমি কিনেছি ও দিনাজপুরে ৮ একর জায়গা কেনা হয়েছে । কারখানা ২টিতে উৎপাদন শুরু করলে সহজে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের খামারিদের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছে দিতে পারবো। বর্তমানে আমাদের ফিড উৎপাদনের ক্ষমতা প্রতিমাসে ৬ হাজার মেট্রিক টন, যা আগামী অর্থবছরের মধ্যে ১০ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
আলী আফজাল আরো বলেন, কৃষিবিদ আমাদের পারিবারিক ব্যবসা না বর্তমানে কৃষিবিদের প্রায় ৬ হাজার ৫ শত শেয়ার হোল্ডার রয়েছে। কৃষিবিদ গ্রুপের বর্তমান শেয়ার হোল্ডারদের প্রতি বছর গড়ে ১৯ শতাংশ লভাংশ দেয়া হয়েছে। আশাকরি যারা বিনিয়োগ করবে আগামী দশ বছর পর্যন্ত ‘এ’গ্রেডে থেকে বিনিয়োগকারীদের লভাংশ দিতে পারবো। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেন সবাই সচেতন থাকেন, জেনে বুঝে বিনিয়োগ করেন। গুজবে কান দিয়ে যেন বিনিয়োগ না করেন।