প্রচণ্ড চাপে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি। প্রবৃদ্ধির এক দশকেরও বেশি সময় পরে ৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। বেকারত্বের হারও রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এতোসব নেতিবাচক ঘটনার মধ্যেও ঝলসে উঠেছে ভারতের পুঁজিবাজার। কয়েক দিনের প্রায় টানা উর্ধগতিতে রেকর্ড গড়েছে দেশটির পুঁজিবাজার।
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বাজার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) সব সূচকের উল্লম্ফন ঘটেছে। প্রধান সূচক সেনসেক্স এদিন ১১০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে ৪১ হাজার ১৩০ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এটি এ যাবতকালে সেনসেক্সের সর্বোচ্চ অবস্থান।
বৃহস্পতিবার নির্বাচিত ৫০ কোম্পানির সূচক নিফটি ৫০ সূচকও বেড়েছে। এদিন এই সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ১৫১ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। খবর এনডিটিভি,ইকোনমিক টাইমস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের।
জুনে দেশটির বাজেট ঘোষণার পর বাজেটের কিছু প্রস্তাবের কারণে বাজারে দরপতন শুরু হয়। কমতে থাকে সূচক। এর মধ্যে দেশটির অটোমোবাইল শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে সঙ্কট নেমে আসে। আসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার খবর। সেসব খবরেরও তীব্র প্রভাব পড়ে বাজারে। সূচক আরও নেমে যায়। এমন অবস্থায় সরকার বাজারে বিদেশী বিনিয়োগের কিছু শর্ত শিথিল করে। কয়েকটি শিল্প খাতকে সঙ্কট থেকে টেনে তুলতে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বাড়াতে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ২৭টি ব্যাংককে একীভুত করে ১২টিতে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সব মিলিয়ে অক্টোবার মাসে বাজার ফের গতি বদলায়।
এদিকে গত সপ্তাহে ভারতের আবাসন শিল্পের মন্দা কাটাতে বড় অংকের তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী সীতা রমণ। অন্যদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চুক্তি সই হওয়ার সম্ভানা তৈরি হয়, যা দেশ দুটির মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের ইতি টানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব কছিু মিলিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উর্ধশ্বাসে দৌঁড়াতে শুরু করে ভারতের বাজার। হয় নতুন রেকর্ড।
শেয়ারবার্তা / হামিদ