ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) থেকে পুন:তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মূল মার্কেটে ফিরেই বাজিমাত ৪ কোম্পানির শেয়ার দরে। দীর্ঘদিন ওটিসিতে অবহেলিত থাকলেও মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথমদিনেই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পেয়েছে কোম্পানিগুলোর। এমনকি ৪টির মধ্যে ৩টির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসের (জুলাই ২০-মার্চ ২১) ব্যবসায় বড় পতনও তাতে বাধাঁ হতে পারেনি।
কোম্পানি চারটি হলো : মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস এবং মুন্নু ফেব্রিকস। রবিবার (১৩ জুন) থেকে কোম্পানি চারটি শেয়ার লেনদেন মূল মার্কেটে শুরু হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন ৪টি কোম্পানিরই শেয়ার দর ১০ শতাংশ করে বেড়েছে। এর মাধ্যমে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৭.৬০ টাকায়। এছাড়া মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৫৫ টাকায়, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের ১৩.২০ টাকায় এবং মুন্নু ফেব্রিকসের শেয়ার ১১ টাকায় দাড়িঁয়েছে।
কোম্পানি ৪টির মধ্যে ৩টির ব্যবসায় চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২০-মার্চ ২১) পতন সত্ত্বেও এমন দর বেড়েছে। এরমধ্যে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ৮৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া মুন্নু ফেব্রিকসের ইপিএস ৩৩ শতাংশ ও মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ইপিএস ৯৪ শতাংশ কমেছে। শুধুমাত্র তমিজ টেক্সটাইলের ইপিএস ২১ শতাংশ বেড়েছে।
মূল মার্কেটে কোম্পানিগুলোর ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ট্রেডিং কোড হচ্ছে : “MONOSPOOL” ও কোম্পানি কোড হচ্ছে : ১৯৫০৫, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের ট্রেডিং কোড :”PAPERPROC” ও কোম্পানি কোড : ১৯৫০৬ , তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলসের ট্রেডিং কোড : “TAMIJTEX” ও কোম্পানি কোড : ১৭৪১৯ এবং মুন্নু ফেব্রিকসের ট্রেডিং কোড : “MONNOFABR” ও কোম্পানি কোর্ড ১৭৪৩৯।
গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানিটির চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের পর আজ থেকে ডিএসইর মূল মার্কেটে কোম্পানিগুলোর লেনদেন শুরু হচ্ছে।