পুঁজিবাজারে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন সত্ত্বেও তিনটি সূচকই ইতিবাচক ছিল। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৫৪ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। দর বেড়েছে মাত্র ৩৪ শতাংশের। বৃহৎ ক্ষুদ্র মাঝারি প্রায় সব খাতেই দরপতনের হার তুলনামূলক বেশি ছিল। অপেক্ষাকৃত কম দরপতন হয়েছে ব্যাংক খাতে।
তবে সূচক ইতিবাচক করতে মূল ভূমিকা রেখেছে দুই কোম্পানি গ্রামীণফোন ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়কে কেন্দ্র্র করে টানা তিন দিনে গ্রামীণফোনের দর ২৩ টাকা ৩০ পয়সা পতনের পর শেয়ারটির দর ঘুরে দাঁড়ায়। এদিন শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা। এছাড়া সিমেন্ট খাতের বড় কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ কোটি টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ পয়সা।
দর ও লেনদেন বৃদ্ধিতে কোম্পানিটি বাজারে নেতৃত্ব দিয়েছে। লাফার্জহোলসিমের কারণে সিমেন্ট খাতের লেনদেন প্রায় সাত শতাংশ বেড়েছে। আগের দিন মাত্র এক শতাংশ লেনদেন হলেও সিমেন্ট খাতের লেনদেন আট শতাংশে উঠে আসে।
১৪ শতাংশ লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার ১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় এক টাকা ৪০ পয়সা। বেক্সিমকো ফার্মার সোয়া ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা।
এরপরে বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। স্টাইল ক্রাফটের প্রায় ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় আট টাকা ৮০ পয়সা।
এছাড়া দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে বস্ত্র খাতের জাহিন স্পিনিং, তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্রাগন সোয়েটার, সায়হাম টেক্সটাইল। এসব শেয়ারের দর সাড়ে চার থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে প্রায় ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দর ইতিবাচক ছিল। সিটি ব্যাংকের ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ২০ পয়সা। প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে ১১ শতাংশ লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৫১ শতাংশ কোম্পানির। সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজের ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০ পয়সা। বিমা খাতে ১১ শতাংশ লেনদেন হলেও দরপতন হয় ৮৩ শতাংশ কোম্পানির।
এর মধ্যে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের প্রায় ১৬ কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় পাঁচ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারটির দর ও লেনদেন বেশ কিছুদিন বৃদ্ধির পর গতকাল সংশোধন হয়। দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে কোম্পানিটি। আর্থিক খাতের লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১০ কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৩০ পয়সা দরপতন হয়।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম