1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
কভিডে ওষুধ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৭ এএম

কভিডে ওষুধ কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১
Medicine

কভিডের ছোবলে অনেকটা থমকে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব খাতেই লেগেছে এর নেতিবাচক প্রভাব। দু-একটি বাদে বাংলাদেশেরও সব খাতে লেগেছে এর বৈরী হাওয়া। তবে বাইরে রয়েছে ওষুধ খাত। কভিড শনাক্ত হওয়ার পর মুনাফা বেড়েছে সিংহভাগ কোম্পানির। মূলত দেশে-বিদেশে ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে মুনাফায় উল্লম্ফন দেখা গেছে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

বর্তমানে পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩১টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ খাতের কোম্পানি রয়েছে ১৯টি। এসব কোম্পানির মধ্যে সর্বশেষ আর্থিক বছরে মুনাফা বেড়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের। চলতি বছরেও ভালো অবস্থানে রয়েছে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির মুনাফা। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ৯ মাসে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা আগের চেয়ে বেড়েছে। এসব কোম্পানির কর্তৃপক্ষ মনে করছেন বছর শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের মুনাফা আরও বাড়বে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সর্বশেষ আর্থিক বছরে (২০১৯-২০) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্মি ল্যাবরেটরিজ মুনাফা করেছে ১৪৫ কোটি টাকা। আগে যা ছিল ১৪৩ কোটি টাকা। একইভাবে বেড়েছে বীকন ফার্মার মুনাফা। এ কোম্পানিটি সর্বশেষ বছর মুনাফা করে ৩৮ কোটি টাকা। আগের বছর এর মুনাফা ছিল ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। একই সময় বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফা হয়েছে ৩৫১ কোটি টাকা। আগে যা ছিল ৩০৩ কোটি টাকা। এ সময় ইবনে সিনার মুনাফা মুনাফা হয়েছে ৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির আগের বছর মুনাফা ছিল ৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানির মধ্যে কিছুটা বেড়েছে তালিকাভুক্ত জেএমআই সিরিঞ্জের মুনাফা। সর্বশেষ বছর কোম্পানির মুনাফা হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আগে যা ছিল ছয় কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এ সময়ে মুনাফায় উত্থান দেখা গেছে ফার্মা এইডসের। বছর শেষে এ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা দেখা গেছে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল চার কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

একইভাবে ২০২০ সালে রেনেটার মুনাফা হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা। এ সময় মুনাফায় বড় উত্থান দেখা গেছে স্কয়ার ফার্মার মুনাফায়। সর্বশেষ বছর কোম্পানির মুনাফা হয়েছে এক হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আগেরবার যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৬৪ কোটি টাকা।

বেক্সিমকো ফার্মার কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ বলেন, কোম্পানিগুলোর মুনাফায় থাকার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ কভিডের প্রাদুর্ভাব। কভিডের কারণে গত বছর দেশে-বিদেশে ওষুধের চাহিদা বাড়ে। এ সময় কিছু ওষুধের চাহিদা অতীতের তুলনায় বাড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের বিক্রিও বেড়ে যায়। কোম্পানিগুলোর মুনাফায় যার প্রভাব পড়েছে। চলতি বছর ওষুধ খাত আরও বেশি ভালো করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে ওষুধ খাতে তালিকাভুক্ত মুনাফা হ্রাস পাওয়া কোম্পানির মধ্যে সর্বশেষ বছর এডভেন্ট ফার্মার মুনাফা হয়েছে ১১ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। একইভাবে ৮৮ কোটি থেকে ৬৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় নেমে এসেছে ওরিয়ন ফার্মার মুনাফা। এ সময় অর্ধেকে নেমে গেছে সিলকো ফার্মার মুনাফা। ২০২০ সালে এ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ছিল আট কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি দুই লাখ টাকা। আলোচিত সময় সিলভা ফার্মার মুনাফা এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা থেকে নেমে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা হয়েছে। আর এ সময় এসিআইয়ের ১০৫ কোটি লোকসান হয়েছে। লোকসান হয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মারও। সর্বশেষ বছর এ কোম্পানির লোকসান হয় ১১০ কোটি টাকা। এর আগের বছর কোম্পানির মুনাফা ছিল পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ৯ মাসেও মুনাফায় রয়েছে বেশিরভাগ ওষুধ কোম্পানি। এ সময়ে বড় বড় কোম্পানির পাশাপাশি ছোট ছোট কোম্পানিও মুনাফার ধারায় রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাড়ছে এসব কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কিছু কোম্পানির ইপিএসই উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। এর মধ্যে রেনেটার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ছিল ৩২ টাকা ৯৪ পয়সা। একই সময়ে ইবনে সেনার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৭ পয়সা।

এদিকে গত ৯ মাসে স্কয়ার ফার্মার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ১১ টাকা ৮৫ পয়সা। এই সময়ে বেক্সিমকো ফার্মার ইপিএস হয়েছে আট টাকা ২৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল পাঁচ টাকা ৮৪ পয়সা। একই সময়ে এক্মি ল্যাবরেটরিজের ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের বছর এ সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল পাঁচ টাকা ৩৪ পয়সা। একই সময়ে জেএমআই সিরিঞ্জের ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল তিন টাকা ৬৩ পয়সা।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ