দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানি সোমবার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে দুটি প্রথম ২০২১ সালের প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাকি ছয়টি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক অবস্থার তথ্য দিয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকের (২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা কোম্পানি দুটি হলো- স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স ও মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স। অপরদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের (২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে– জেমিনি সি ফুড, এটলাস বাংলাদেশ, ওয়ালটন, সেন্ট্রাল ফার্মা, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭৬ পয়সা, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৯ টাকা ৯ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৪ পয়সা।
এদিকে এই বীমা কোম্পানিটি ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ জুলাই। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা ১৩ জুন।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৯ টাকা ৫ পয়সা। আর চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৫ পয়সা।
এদিকে এই বীমা কোম্পানিটি ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সংক্রান্ত বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা ১৬ জুন।
এটলাস বাংলাদেশ: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২১ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা ভারী হয়েছে।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ১৩১ টাকা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ১৫ পয়সা।
ওয়ালটন: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ইপিএস হয়েছে ১২ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ৩৪ টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ টাকা ৫৩ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ২৯১ টাকা ৫৯ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ২৬১ টাকা ৯২ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মা: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৭ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ৬ টাকা ৬০ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৯ পয়সা।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ৮৮ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ২ টাকা ৫৯ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৫ টাকা ৪৩ পয়সা, ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ৮ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ১ টাকা ৬৪ পয়সা।
সিনোবাংলা: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা, তা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা, যা ২০২০ সালের জুন শেষে ছিল ২৫ টাকা ৬৯ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮ টাকা ২২ পয়সা।
জেমিনি সি ফুড: চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৫ টাকা ৩৪ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ২৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় ৪ টাকা ৭৩ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬ টাকা ১ পয়সা, ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ২১ পয়সা। আর ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ২ টাকা ৫ পয়সা।