দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে কর্পোরেট বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করতে চায় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ডেট সিকিউরিটিজ আইন যুগোপযোগী করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই আইনের বলে পারপিচুয়াল বন্ডকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
ইতোমধ্যে অনুমোদন পাওয়া ১১টি ব্যাংকের ৫ হাজার একশ কোটি টাকার পারপিচুয়াল বন্ড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। রোববার বিএসইসি এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া ১১টি ব্যাংকের বন্ডগুলো হলো- যমুনা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এসআইবিএল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
এই ১১টি ব্যাংকের ৫ হাজার একশ কোটি টাকা পারপিচুয়াল বন্ড পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হচ্ছে। আগামীতে যে সকল পারপিচুয়াল বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে তার ১০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্ধ থাকবে।
এর আগে বিএসইসির ৭৭৪তম কমিশন সভায় এই ১১টি ব্যাংকের বন্ড পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তবে এই বন্ড পুঁজিবাজারে সুচকে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না। সূচকে প্রভাব না পড়লেও বাজার মূলধনে বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বন্ড।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য কোন ইস্যুয়ার পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে চায় তবে তাকে অবশ্যই প্রস্তাবিত পারপিচুয়াল বন্ডের মাধ্যমে করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে অর্থের ১০ শতাংশ পাবলিক অফারের মাধম্যে সংগ্রহ করতে হবে। এখানে বাজার মধ্যস্থকারী প্রতিষ্ঠান তথা মার্চেন্ট ব্যাংক এন্ড পোর্টফোলিও মানেজার, এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং স্টক ডিলার তদের নিজস্ব পোর্টফোলিওর কমপক্ষে ৩ শতাংশ আাগারী ৩০ জুন,২০২২ এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাতুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিওর কমপক্ষে ৩ শতাংশ পুঁজিবাজারের তালিকাতুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে। যা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নিশ্চিত করবে।