সম্প্রতি আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা রিং শাইন টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন শুরু সংক্রান্ত জটিলতা কাটতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (বিএসইসি) গাইডলাইন দিয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, বিদ্যমান দুটি আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থার কারণে রিং শাইনের শেয়ার লেনদেন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে এই জটিলতা সৃষ্টি করেছে খোদ কোম্পানিটি। রিং শাইন টেক্সটাইল গত ২০ নভেম্বর সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। বিদ্যমান আইন অনুসারে, লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার পরবর্তী লেনদেন দিবসে সার্কিট ব্রেকার বা শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনের সীমা থাকে না। এ হিসেবে রিং শাইনের শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে সার্কিট ব্রেকার থাকার কথা নয়। কিন্তু সম্প্রতি জারি করা বিএসইসির একটি নির্দেশনা অনুসারে, আইপিও পরবর্তী প্রথম লেনদেনের দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। আইন এই জটিলতার প্রেক্ষিতে ডিএসই রিং শাইনের শেয়ার লেনদেনের জটিলতা তুলে ধরে বিএসইসির কাছে গাইডলাইন চাইলে তারা একটি গাইডলাইন দিয়েছে।
জানা গেছে, বিএসইসি ডিএসইকে জানিয়েছে সার্কিটব্রেকার সংক্রান্ত ইস্যুতে তাদের সর্বশেষ নির্দেশনাটিই বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থাৎ লেনদেন শুরুর প্রথম দিন থেকেই রিং শাইনের শেয়ারে সার্কিট ব্রেকার থাকবে।
রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড ঘোষিত লভ্যাংশের জন্য ১১ ডিসেম্বর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, রেকর্ড তারিখের পর কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু করতে হবে। তাহলে লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত (Corporate Declaration) কারণে সার্কিট ব্রেকার থাকা না থাকার বিষয়টি আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। ফলে লেনদেন শুরুর দিন থেকেই সার্কিট ব্রেকার কার্যকরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না।
রেকর্ড তারিখের পর লেনদেন শুরু হলে ঘোষিত লভ্যাংশ বর্তমান শেয়ারহোল্ডাররাই প্রাপ্য হবে। অর্থাৎ ঘোষিত বোনাস শেয়ার আইপিওতে শেয়ার বরাদ্দপ্রাপ্তরাও এ লভ্যাংশ পাবেন।
বিএসইসির গাইডলাইনের কারণে আগামী ১১ ডিসেম্বরের আগে রিং শাইনের শেয়ার লেনদেনের কোনো সম্ভানা নেই। তাই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ১১ ডিসেম্বরের পরে শুরু হতে পারে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল ইসলাম