পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ব্যবসায় বড় উত্থান হয়েছে। কোম্পানিটির পুরো অর্থবছরের মুনাফার ৫৪ শতাংশ অর্জন হয়েছে এই প্রান্তিকে। তারপরেও কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে। ব্যাংকটির ২০২০ সালের আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের ২০২০ সালের প্রথম ৯ মাসে বা ৩টি প্রান্তিকে (জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ০.৭৭ টাকা। আর বছরের শেষ প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০.৯০ টাকা। যাতে ২০২০ মোট ইপিএস হয়েছে ১.৬৭ টাকা। এক্ষেত্রে শেষ প্রান্তিকের অবদান ৫৪ শতাংশ। আর বাকি ৪৬ শতাংশ এসেছে আগের ৩টি প্রান্তিকে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয় ০.৩৯ টাকা। যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ০.১১ টাকা ও তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ০.২৯ টাকা ইপিএস হয়। যাতে ৯ মাসে ইপিএস হয় ০.৭৭ টাকা।
এদিকে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের আগের বছরের ১.৭১ টাকার ইপিএস ২০২০ সালে কমে হয়েছে ১.৬৭ টাকা। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ আগের বছরের ন্যায় এবারও ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
ব্যাংকটির ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১.৬৭ টাকা হিসেবে মোট ১৫৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। এরমধ্য থেকে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিতরন করা হবে। এছাড়া ৫ শতাংশ বোনাসের ৪৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৬২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রিজার্ভে রাখা হবে।
উল্লেখ্য রবিবার (০২ মে) লেনদেন শেষে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১২.১০ টাকায়।