করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় পর্যুদস্থ পুরো বিশ্ব। স্বাভাবিকভাবেই করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। দেশের অন্যতম কনগ্লোমারেট বেক্সিমকো গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেড করোনা প্রতিরোধে ব্যবহূত ওষুধ, ভ্যাকসিন ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন করছে। আর এর সুবাদে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় ইর্ষনীয় উল্লম্ফন হয়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বেক্সিমকো লিমিটেডের চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে কোম্পানি দুটির পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানি দুটির ব্যবসা ও মুনাফায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ওষুধ খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আয় চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪১ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৬১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এদিকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। এসময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ১১ শতাংশ।
অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ২০ গুণ। আর চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময়ে কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ গুণেরও বেশি
জানতে চাইলে বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ বলেন, করোনার চিকিৎসায় ব্যবহূত বেশ কয়েকটি ওষুধ আমরা উৎপাদন করছি। দেশের পাশপাশি বিদেশেও এসব ওষুধের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার করোনার ভ্যাকসিন থেকেও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কমিশন বাবদ কিছু আয় হয়েছে। আর বিশ্বব্যাপী পিপিইর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পাশপাশি গার্মেন্টস পণ্যের চাহিদা বাড়ার সুবাদে বেক্সিমকো লিমিটেডের আয় বেড়েছে।