শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এসএস স্টিলে প্রমাণাদির (ডকুমেন্টস) অভাবে অনিরীক্ষিত রয়েছে আর্থিক হিসাবে দেখানো ৩০ কোটি ৬ লাখ টাকার ‘ডেফার্ড ট্যাক্স লায়াবিলিটিজ’। ফলে আন্তর্জাতিক হিসাব মানের (আইএএস)-১২ ধারাটি পরিপালন অসমাপ্ত রয়েছে।
কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
বাংলাদেশ শ্রম আইনও পরিপালন করেনি এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ। নিরীক্ষক জানিয়েছেন, শ্রম আইন অনুযায়ি প্রতি আর্থিক বছরে মুনাফার ৫ শতাংশ ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ড, ওয়েলফেয়ার ফান্ড ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ফান্ডে প্রদান করতে হয়। যা অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ৮০:১০:১০ অনুপাতে প্রদান করতে হয়। কিন্তু এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ফান্ডে কোন অর্থ প্রদান করেনি।
এছাড়া শ্রম আইন অনুযায়ি ১০০ স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোম্পানির ক্ষেত্রে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হলেও এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে নবায়ন করেনি। এমনকি গ্রাচ্যুইটি পলিসি মেইনটেইন করে না এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এসএস স্টিলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৪.৫২ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (২৬ এপ্রিল) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৮ টাকায়।