শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটিভ ফাইন কেমিক্যালে অনিয়ম খুজেঁ পেয়েছে নিরীক্ষক। যে কারনে কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন) দিয়েছেন।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে নগদ অর্থে স্থায়ী সম্পদ কিনেছে। এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ৩০ (এম) লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
বিএসইসির ২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্দেশনা অনুযায়ি, উদ্যোক্তা/পরিচালকদেরকে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন করতে হয়। কিন্তু এ কোম্পানিটিতে রয়েছে মাত্র ১২.০৪ শতাংশ।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১২ এর প্যারা ১২ ও ১৫ অনুযায়ি, কোম্পানিটির কারেন্ট ইনকাম ট্যাক্স ও ডেফার্ড ট্যাক্স সঞ্চিতি গঠন করা দরকার। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মূল ব্যবসার বাহিরে অন্যান্য আয়ের উপরে ব্যতিত এই ট্যাক্স সঞ্চিতি গঠন করেনি। কোম্পানিটির সংশ্লিষ্ট ব্যবসা ট্যাক্স অব্যাহতির আওতাভুক্তির কারনে এমনটি করা হয়েছে বললেও এনবিআর থেকে এখনো সে কাগজপত্র পায়নি। যদিও কোম্পানিটি থেকে এর আগের বছর অতিরিক্ত ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া একটিভ ফাইনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৮৭.৯৬ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (১১ এপ্রিল) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৩.১০ টাকায়।