1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকবে ব্যাংক
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৫ পিএম

কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকবে ব্যাংক

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১
Bangladesh Bank

আগামী সপ্তাহে থেকে এক সপ্তাহের জন্য জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এমনকি সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জরুরি সেবা হিসেবেই দেখার কথা জানিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই জানিয়েছে, ব্যাংক চালু থাকলে বন্ধ হবে না পুঁজিবাজার। দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে পুঁজিবাজার চালু রাখা হবে।

গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিন থেকেই মোটামুটি শিথিল লকডাউন। তৃতীয় দিন থেকে দেশের সব মহানগরে চালু করে দেয়া হয় বাস। যদিও অন্যান্য যানবাহন চলছে প্রথম দিন থেকেই। এরপর খুলে দেয়া হয় দোকানপাট ও শপিং মল।

এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিদিন রেকর্ড করতে থাকায় সরকার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানানো হয়েছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে (শুক্রবার) বলেন, “এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।”

লকডাউনের এক সপ্তাহ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব যে, এই এক সপ্তাহ মানুষজন একদম ঘরে থাকবে। সেভাবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলবে।”

এবারের লকডাউনে যানবাহন তো বটেই, বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। আগামী রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি।

এ পর্যায়ে ব্যাংক চলবে কি না- এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।”

তিনি বলেন, “এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

ব্যাংকের লেনদেন পরিবর্তন করায় পুঁজিবাজারের লেনদেনও পরিবর্তন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারের লেনদেন মোবাইল অ্যাপস, টেলিফোন ইত্যাদির মাধ্য সম্পন্ন করার জন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের বার বার অনুরোধ করা হয়েছে।

কঠোর লকডাউনেও একই সময়সীমা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নও ছিল সিরাজুল ইসলামের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “রোববার সরকারের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।”

তবে সীমিত আকারে হলেও ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখা হবে-এটি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।

এদিকে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম জানিয়েছেন, রোববার সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, “সরকারের পরবর্তী লকডাউনে কী কী বন্ধ থাকবে আর কী কী খোলা থাকবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বিষয় বলা হয়নি। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর সেটি স্পষ্ট হবে।”

তিনি বলেন, “যেহেতু ব্যাংকের কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে বর্তমানে পুঁজিবাজারের লেনদেন চলছে সেহেতু পরবর্তী লকডাউনে বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটির পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ