পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া অতিমূল্যায়িত এডিএন টেলিকম প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব দুই দফায় প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করেছে। কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের নিজস্ব ফান্ডের বিনিয়োগের চেয়ে বোনাস শেয়ারের পরিমাণ অনেক বেশি।
এডিএন টেলিকম প্রথমবার ২০১৪ সালে ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করে। ওই সময় প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে ইস্যু করা হয়। যার ওপরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ব্যবসায় ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়। এই বড় বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে শেয়ারটির মূল্য কমিয়ে আনা হয়। যে কারণে ২০১৭ সালে প্রতিটি ১৫ টাকা করে ৩ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করা হয়। তবে এই ১৫ টাকার শেয়ার নিলামে যোগ্য নামের অযোগ্য বিনিয়োগকারীরা ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ রয়েছে ৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বোনাস শেয়ারের পরিমাণ ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬০ শতাংশ। যা ২০১২ সালে ৫৫ শতাংশ ও ২০১৬ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাড়ানো হয়। যে কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/ পরিচালকদের নগদ বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ১১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪৯ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ৩ কোটি ৩৩ লাখ। এগুলো ৩ বছর লক-ইন থাকবে। বাকি ১ কোটি ১৬ লাখ শেয়ারের কিছু অংশ ২ বছর এবং কিছু অংশ ১ বছর লক-ইন থাকবে।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, আইপিও অনুমোদনের ৪ বছর পূর্বে ইস্যুকৃত শেয়ারে (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতীত) ১ বছর লক-ইন। আর ৪ বছরের মধ্যে ইস্যুকৃত শেয়ারে লক-ইন ১ বছর। উল্লেখ্য, এডিএন টেলিকম ২০০৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত। একইবছরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। এরপরে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়।
শেয়ারবার্তা / হামিদ