পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক ৩৮ বছরে কল্যাণমুখী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের শীর্ষ ব্যাংকের গৌরব অর্জন করতে পেরেছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) ব্যাংকটির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. ওমর ফারুক খান; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, তাহের আহমদ চৌধুরী, এএএম. হাবিবুর রহমান ও মো মোশাররফ হোসাইনসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।
এছাড়া ব্যাংকের ৩৭৪টি শাখা, ১৭২টি উপশাখা ও ১৬টি জোন অফিসে এ উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সার্বিক অগ্রগতি, পরিচালনা পর্ষদসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ীদের সুস্বাস্থ্য ও করোনা মহামারী থেকে দেশের মানুষের নিরাপত্তা কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রফেসর নাজমুল হাসান বলেন, শরীআহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্য নিয়ে ইসলামী ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে। বিগত ৩৮ বছরে কল্যাণমুখী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষ ব্যাংকের গৌরব অর্জন করতে পেরেছে। স্বাধীনতার পরে আর্থিক খাতে ইসলামী ব্যাংকিং একটি বড় অর্জন।
তিনি বলেন, এ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছে। সম্পদভিত্তিক ও কল্যাণমুখী বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এ ব্যাংক বড় বড় শিল্প গ্রুপ গড়ে তোলার পাশাপাশি পল্লী অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমেও এ ব্যাংক অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করে চলেছে। করোনা মহামারির এই সময়ে সেলফিন, এমক্যাশ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সব বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলসমূহ জনপ্রিয় করার জন্য তিনি সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক যাত্রা শুরু করেছিল। অনেক মানুষের ত্যাগ ও ভালোবাসার বিনিময়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং সফল বাস্তবতা। ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি, রপ্তানি, রেমিট্যান্সসেবাসহ সব কার্যক্রমে দেশের শীর্ষ ব্যাংকে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অন্যতম দুই চালিকাশক্তি রেডিমেড গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স আহরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এ ব্যাংক। তিনি ব্যাংকের সম্পদমান বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ সম্পূর্ণ নতুন কার্যপদ্ধতিতে যাত্রা শুরু করে ইসলামী ব্যাংক। সময়ের বিবর্তনে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছে। গত দুই দশক ধরে আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রফতানি, রেমিট্যান্স আহরণসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং খাতে শীর্ষস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। শুধু বাংলাদেশই নয়, গত ৯ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ ব্যাংকের মধ্যে দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ব্যাংকটি।