চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ১৮৯টি প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছে। তবে বড় ধরনের কোনো আইন ভঙ্গ না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কপত্র ইস্যু করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান, ফেব্রুয়ারিতে ১৬টি প্রতিষ্ঠান, মার্চে ৪৭টি প্রতিষ্ঠান, এপ্রিলে ২৩টি প্রতিষ্ঠান, মে মাসে ৭টি প্রতিষ্ঠান, জুন মাসে ৫টি প্রতিষ্ঠান এবং জুলাই মাসে ১৩টি প্রতিষ্ঠান, আগস্ট মাসে ১৬টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান এবং অক্টোবর মাসে ১৮টি প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছে।
আইন ভঙ্গ করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৫ বার, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ৩ বার, ইমারেল্ড অয়ল ইন্ডাস্ট্রিজ ৩ বার, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ২ বার, ফু-ওয়াং ফুডস ২ বার, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, মুন্নু সিরামিক, পুরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, স্টাইল ক্রাফট, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, কাশেম ইন্ডাট্রিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, প্যাসেফিক ডেনিমস, বিচ হ্যাচারি, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যাসিয়াল সার্ভিসেস, স্যাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডকে ১ বার করে সতর্কপত্র ইস্যু করা হয়।
আর ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টকে ১৫ বার, আল-মুন্তাহা ট্রেডিংকে ৪ বার, আরএন ট্রেডিং কে ৫ বার, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, লটাস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ডিএসএফএম সিকিউরিটিজ, সাদ সিকিউরিটিজকে ২ বার সতর্কপত্র ইস্যু করা হয়।
তাছাড়া সতর্কপত্র ইস্যু করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আকিজ সিকিউরিটিজ, আলোকো সিকিউরিটিজ, ডেটন সিকিউরিটিজ, ইস্টার্ন ক্যাপিটাল, অ্যারেনা সিকিউরিটিজ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ, এনবিএল সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ, পিস সিকিউরিটিজ, রাজা সিকিউরিটিজ, ট্রান্সকম সিকিউরিটিজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, ইস্টার্ন শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, এরশাদ সিকিউরিটিজ, এফবিএল সিকিউরিটিজ, আলী সিকিউরিটিজ, নিজাম শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইউনিরয়েল সিকিউরিটিজ, মার্ক সিকিউরিটিজ, ইন্টার কন্টিনেন্টাল সিকিউরিটিজ, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসএন সিকিউরিটিজ, সিন্থিয়া সিকিউরিটিজ, কোর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ, আরএনআই সিকিউরিটিজ, কিএইচবি সিকিউরিটিজ, কে সিকিউরিটিজ, হাজী আহেমেদ ব্রাদার্স, ডিএমআর সিকিউরিটিজ, বাবুল সিকিউরিটিজ, রিলায়েন্স সিকিউরিটিজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, গ্লোব সিকিউরিটিজ, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, সালতা ক্যাপিটাল, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, বিরিচ সিকিউরিটিজ, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ, হারুন সিকিউরিটিজ, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, পূবরী সিকিউরিটিজ, শাহেদ সিকিউরিটিজ, সাবভেলি সিকিউরিটিজ, ট্রান্সকম সিকিউরিটিজ, ট্রেজার সিকিউরিটিজ, এবি ইস্পাহানী সিকিউরিটিজ, এডি হোলিংস, মাহির সিকিউরিটিজ, প্রাইম ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্স, এসবি সিকিউরিটিজ, এমটিবি সিকিউরিটিজ, এমটিবি ক্যাপিটাল, এবং শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।
শেয়ারবার্তা / আনিস