পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পাওয়ারগ্রীড লিমিটেড থেকে মালিকানা কমাচ্ছে সরকার। এই প্রক্রিয়ায় সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার আছে ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৮টি। সেখান থেকে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪০টি শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দেয়া হয়। এই পরিমাণ শেয়ার আগামী ৯০ কার্যদিবস বা তিন মাসের বেশি সময়ে ওপেন মার্কেটে বিক্রি করা হবে। যা কিনতে পারবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর জানানো হয়, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির করপোরেট স্পন্সর বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি)। তাদের কাছে পাওয়ার গ্রিডের ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৮টি শেয়ার। এর থেকে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪০টি শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দেয়া হয়। এই পরিমাণ শেয়ার আগামী ৯০ কার্যদিবস বা তিন মাসের বেশি সময়ে ওপেন মার্কেটে বিক্রি করা হবে। যা কিনতে পারবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
এরপর গত ১৫ মার্চ জানানো হয়, বিক্রির জন্য ঘোষণা করা ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪০টি শেয়ারের মধ্যে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩২টি শেয়ার ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।
পাওয়ার গ্রিডের মোট শেয়ার ৭১ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৯১টি। এরমধ্যে বিপিডিবির রয়েছে ৮৪ শতাংশ বা ৬০ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪৮টি শেয়ার।
পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড ২০২০ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৪ দশমকি ৬১ শতাংশ রিটার্ন দেয়।
কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাওয়ার গ্রিডের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২০) সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
আর্থিক প্রতিবেদনটি অনিরীক্ষিত হওয়ায় এটি চূড়ান্ত হিসাব নয়। অডিটেড বা নিরীক্ষত হওয়ার পর শেয়ার প্রতি আয় বাড়তে বা কমতে পারে।
২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে বর্তমানে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে আছে মোট শেয়ারের ৮০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ শতাংশ শেয়ার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার।