পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমশন ভবনে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠকে এই একমত হয়েছে। এখন বাস্তবায়নে করণীয় পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনা মহামারির কারনে গত বছর ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ প্রদানের সীমা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই লভ্যাংশের সীমা আজকের সভায় ৩৫ শতাংশে বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা ও একমত হয়েছে ঊভয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধিরা। এছাড়া বৈঠকে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রাতষ্ঠানগুলো যেন নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে বিএসইসির পক্ষে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে একজন নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বিতভাবে একসঙ্গে কাজ করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ছিল। তবে আজকের আলোচনার মাধ্যমে সেটা আরও ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩৫ শতাংশের মধ্যে বোনাস বা নগদ লভ্যাংশ কত করে হবে, সেটা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বের জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে পারতো। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বোনাস লভ্যাংশও দিতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে।