সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার পুঁজিবাজারে বড় পতন হযেছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
দিনের লেনদেন শেষে পুঁজিবাজার ধসে রূপ নিলেও এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এতে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দামবৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকায় প্রথম এক ঘণ্টা সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
কিন্তু লেনদেনের শুরু থেকেই ভিন্ন চিত্র দেখা যায় দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মেরিকো, বার্জার, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার প্রবণতা এক সময় গিয়ে পড়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এতে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় মুহূর্তের মধ্যে ধসে রূপ নেয় সূচক।
ডিএসইতে শেয়ার দাম হাজার টাকার ওপরে থাকা ৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭টিই আজ লেনদেন শেষে পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মেরিকো, বার্জার, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটনের পাশাপাশি পতরের তালিকায় রয়েছে ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্ট। পতনের মধ্যে হাজার টাকার ওপরে দাম থাকা একমাত্র রেনেটার শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের। কোম্পানিটির দর কমেছে ২.৩৩ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো। কোম্পানিটির দর কমেছে ২.২২ শতাংশ। এরপর ইউনিলিভার কনজিউমারের দর কমেছে ১.৯০ শতাংশ, লিন্ডে বিডির ১.৮৮ শতাংশ, ওয়ালটনের ১.৮১ শতাংশ, রেকিট বেনকিজারের ০.৬১ শতাংশ, বার্জারের ০.৫৭ শতাংশ এবং ম্যারিকোর ০.০১ শতাংশ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটন, বার্জার ও ম্যারিকো পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় মূলধনী কোম্পানি।