1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পদ্মা ব্যাংকে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ এএম

পদ্মা ব্যাংকে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১
bsec-chairman

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পদ্মা ব্যাংকে অনিয়ম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার রাজধানীতে ইআরএফ মিলনায়তনে ‘ডায়ালগ অন বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমি’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ‘টাকা সরানোর’ যে অভিযোগ এনেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের অভিযোগের চিঠিটা আমরা পেয়েছি। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা পদ্মা ব্যাংকের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চাইব।”

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, “আমরা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছেও বিষয়টি জানাব। সব কিছু চেক করে আমরা দেখে নেব কোন তথ্যটা সঠিক। দেশের আইন অনুযায়ী যা হবার তা হবে, এখানে আমাদের বিচ্যুতি হওয়ার কোনো কারণ নেই।”

এদিকে, মহীউদ্দীন খান আলমগীরের অভিযোগ করেছেন, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ‘বিধি ভেঙে’ ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা একটি তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন।

পাল্টাপাল্টি অভিযোগে আলোচনায় পদ্মা ব্যাংক, ‘খতিয়ে দেখবে’ বিএসইসি

অনিয়ম আর ঋণ কেলেঙ্কারিতে ডুবতে বসা ফারমার্স ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ঘটে ২০১৭ সালে। সে সময় চাপের মুখে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

পরের বছর ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, যিনি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজেমেন্ট পিএলসি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডেরও চেয়ারম্যান।

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতপদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও বর্তমান চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতমহীউদ্দীন খান আলমগীর গত ৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি লিখে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের কথা তুলে ধরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
চিঠির অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেও পাঠানো হয়।

সেখানে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর তিনি যখন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, তখন তার ‘অনুপস্থিতিতে’ ফারমার্স ব্যাংক পর্ষদের এক বৈঠকে একটি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ অনুমোদন করা হয়।

সেই বৈঠকের একটি বোর্ড মোমোর ফটোকপি সম্প্রতি হাতে পাওয়ার পর ওই বিনিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে ব্যাংকের স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ভাষ্য।

তার চিঠিতে বলা হয়, “আমি জানতে পেরেছি, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সে সময় অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান/এমডি হিসেবে বিনিয়োগের ওই অর্থ নেন। তাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়, কারণ তিনি তখন ব্যাংকের একজন পরিচালক এবং আইন অনুযায়ী তিনি পরিচালক থাকা অবস্থায় ফারমার্স ব্যাংক থেকে কোনো তহবিল পেতে পারেন না।”

বাংলাদেশের ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের ২৭ এর ২ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যাংক এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারবে না, যেখানে ব্যাংকটির কোনো পরিচালক যুক্ত থাকবেন পরিচালক বা পার্টনার হিসেবে।

আর তখনি ঋণ অনুমোদন করা যাবে, যখন বেশির ভাগ পরিচালক এর পক্ষে মত দেবেন। তবে যে পরিচালক সেই প্রতিষ্ঠানে আছেন, তার মতামত এখানে গ্রহণযোগ্য হবে না।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার চিঠিতে বলেছেন, সেই অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে এ পর্যন্ত কোনো লভ্যাংশ পদ্মা ব্যাংককে ‘দেওয়া হয়নি’, মূল টাকাও তারা ‘ফেরত দেয়নি’।

“ওই তহবিল বেআইনিভাবে অনুমোদন করা হয়েছে এবং যেভাবে ব্যাংকের মূলধন থেকে ওই টাকা বিনিয়োগ বা সরানো হয়েছে, তাতে গুরুতর অনিয়ম ঘটেছে।”

বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগের ওই টাকা ব্যাংকে ফেরত আনার ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়েছে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের চিঠিতে।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ