বীমাখাতে জাতির পিতার উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কার্যক্রম দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এই লক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ প্রণয়নের জন্য দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ মার্চ, ২০২১ (বৃহস্পতিবার) বীমা কোম্পানিগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে ১৯৭১-১৯৭৫, ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯-২০২১ পর্যন্ত তিন ধাপে বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে আইডিআরএ। আগামী ১৫ মার্চ, ২০২১ তারিখের মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ই-মেইলে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
যেসব তথ্য পাঠাতে হবে- লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম আয়, লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর গ্রাহক সংখ্যা, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ইস্যুকৃত পলিসির সংখ্যা, সকল বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা, সকল বীমা কোম্পানির এজেন্টদের সংখ্যা, সকল বীমা কোম্পানির ভ্যাট ও ট্যাক্স এর পরিমাণ।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) ও সাধারণ বীমা করপোরেশন (এসবিসি) ছাড়াও ৩২টি বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি এবং ৪৫টি বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসহ সর্বমোট ৭৯টি বীমা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দেশে বাজারে বীমা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশে দেশী বিদেশী ৬৭টি কোম্পানি রেজিস্ট্রিকৃত ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা শিল্পের উন্নয়নকল্পে ১৯৭২ সালের ৮ আগস্ট এ শিল্পকে জাতীয়করণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে আইন সংশোধনের মাধ্যমে বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান গঠনের সুযোগ প্রদান করে সরকার।