পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০২০ সালের ব্যবসায় ৫৫০ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ এই মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে মাত্র ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা মুনাফার ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ৮৫ শতাংশ কোম্পানিতেই রাখা হবে। এরমধ্যে ১৫ শতাংশ পরিশোধিত মূলধন ও ৭০ শতাংশ রিজার্ভের মাধ্যমে রাখা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির প্রকাশিত ২০২০ সালের সমন্বিত আর্থিক হিসাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০২০ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা মুনাফা হয়েছে। এর বিপরীতে অভিহিত মূল্য ১০ টাকা বিবেচনায় প্রতিটি শেয়ারে ৩০ শতাংশ (১৫% নগদ ও ১৫% বোনাস) লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। যা শেয়ারপ্রতি ১০ টাকার মুনাফা বিবেচনায়ও লভ্যাংশের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। তবে এরমধ্যে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ারের জন্য কোম্পানি থেকে কোন ধরনের সম্পদ প্রদান করতে হবে না, শুধুমাত্র শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেই হবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা হিসেবে মোট ৫৫০ কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ারপ্রতি ১.৫০ টাকা করে মোট ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ১৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরন করা হবে। আর বোনাস লভ্যাংশ ১৫ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১.৫০ টাকা হিসাবে মোট ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ শেয়ার বিতরণ করা হবে। যাতে একই পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন বাড়বে। বাকি ৩৮৫ কোটি টাকা বা ৭০ শতাংশ রিজার্ভে যোগ হবে।
এদিকে ব্যাংকটির পর্ষদ ২০০৯ সালের পরে ২০১৮ সালের ব্যবসায় ন্যূণতম পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পরিপালনের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল। ওই বড় বোনাস শেয়ারের পরেও সর্বশেষ ২ অর্থবছরেও বোনাস ঘোষণা করেছে। যে ব্যাংকটির পর্ষদ ২০০৯ সালের পরে ৮ বছর বোনাস দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৫০ কোটি টাকা। শনিবার (০৬ মার্চ) ব্যাংকটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬২.৯০ টাকায়।