1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
মিজান প্রতারক, বিনিয়োগকারী না
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম

মিজান প্রতারক, বিনিয়োগকারী না

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯
Mizan-ur-Rashid

শেয়ারবাজারে সঠিক বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরীকে প্রতারক হিসাবে বিনিয়োগকারীরা জানতে পেরেছেন। সে বিনিয়োগকারী না। পরিষদের এরা মূলত দালাল। এছাড়া সংঘবদ্ধ এজিএম পার্টি। ঐক্য পরিষদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে এমনই মন্তব্য করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

ঐক্য পরিষদের পেজে নিউ ক্যাসিনো অ্যাকাউন্ট থেকে একজন মন্তব্য করেছেন, কোম্পানির এজিএমে গিয়ে বিনিয়োগকারী সেজে প্রশংসা করার জন্য মিজানের একটি সংঘবদ্ধ এজিএম পার্টি আছে। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমে তার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম মিজান একজন প্রতারক। তিনি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না।

বেলাল হোসাইন নামের একজন মিজানকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, আপনার কি লস হবে, পুজিঁ তো ৩ হাজার। মাত্র ২০০ বেক্সিমকো নিয়ে শেয়ারবাজারের পাবলিকের কষ্ট বুঝবেন কেমনে? এরসঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আরএনজি মিয়া লিখেছেন, ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। পরিষদের এরা দালাল। শুয়োরগুলি কোন ধান্দা শুরু করলো?

রওশন আলম নামের একজন মন্তব্য করেছেন, মিজান সাহেবকে যারা নেতা বানাইছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

ঐক্য পরিষদের পেজে অনেকেই মিজানুর রশীদের বিনিয়োগ ৩ হাজার টাকার বেশি থাকলে তার পোর্টফোলিও প্রকাশের দাবি জানান। কিন্তু তার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

জুম্মন কসাই মন্তব্য করেন, মিজান সাহেব সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্থ এটি প্রমাণ করা এখন সময়ের দাবী। পোর্টফোলিও আপলোড করে দেন। ওনার অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। মিজান সাহেবের কাছে সবার একটা কমন প্রশ্ন, ওনার বিনিয়োগই নাই, তাহলে উনি কাদের জন্য কি এবং কিসের জন্য কি আদায় করতে চায়? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের এডমিন জানায়, কিভাবে বুঝলেন উনার কাছে কি আছে, এটা গোয়েন্দা সংস্থা দেখবে। আমি আর আপনি না। আর অনেক বিনিয়োগকারীর কোটি কোটি টাকা ফোর্সড সেল হয়েছে, তাদের কি বলবেন? এমন প্রশ্নে জুম্মন কসাই বলেন, বুঝলাম তো পোর্টফোলিও দেখে। প্রতিটা হাউজে হাউজে এই বিষয়ে আলাপ হচ্ছে।

এদিকে মেহদি হাসান নামের একজন মন্তব্য করেন, মিজান ভাইয়ের একটি একটিভ পোর্টফোলিও পোস্ট করলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়। শ্রম ও শক্তি মূল কাজে ব্যয় হবে। এর উত্তরে ঐক্য পরিষদ জানায়, পোর্টফোলিওতো অনেকের আছে, কিন্তু বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বলার কে আছে?

আরএনজি মিয়া নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ঐক্য পরিষদের পেজে লিখেন, পরিষদ একটি ধান্দাবাজ বিকাশ পার্টি, মিজান ৩ হাজার টাকা পুজিঁ নিয়ে কত টাকা লস করছে, তা সবাই জানতে চায়। মোহাম্মদ মাসুম লিখেছেন, ঐক্য পরিষদ একটি ফালতু পরিষদ।

শফিউল আলম জয় লিখেছেন, ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগে সে কিভাবে বিনিয়োগকারী হয়। সে যদি পূর্বে লস দিয়ে থাকে, তাহলে আগের পোর্টফোলিও প্রকাশ করুক। এর জবাবে ঐক্য পরিষদ লিখে, কেনো প্রকাশ করব। এটা কি কোন আইনে আছে? এর প্রতিউত্তরে শফিউল আলম জয় লিখেন, যে বিনিয়োগ করে নাই, সে কিভাবে বিনিয়োগকারীর নেতা হয়।

গাজী আনোয়ার বিডি লিখেছেন, আপনার (মিজান) চামচামিটা বেশি মনে হচ্ছে। মাহমুদুল হাসান জয় মিজানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সত্য চাপা থাকে না। সিডিবিএল থেকে পোর্টফোলিও প্রকাশ করা হয়েছে ঐক্য পরিষদের এমন অভিযোগের আলোকে সৌরভ সাহা লিখেছেন, মিথ্যা কিছু তো দেয়নি।

ঐক্য পরিষদের অনেকে অনৈতিক কাজে জড়িত এমন অভিযোগ রেখে আতিক রহমান লিখেছেন, বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সবাই খারাপ না। তবে অনেকগুলো বাটপার আছে, যাদের কোন শেয়ার নেই। এরা পরিষদ দিয়ে ব্যবসা করে।

শেয়ারবার্তা/ মামুন

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ