পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত ও লেনদেন শুরু করা ই-জেনারেশন আগামী চার বছর কোনো বোনাস লভ্যাংশ দিতে পারবে না। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, বিনিয়োগকারীরা যাতে নগদ লভ্যাংশ পেতে পারে সে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বিএসইসি। সেদিক বিবেচনা করে কোম্পানিটিকে এ শর্ত দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের বিডিং অনুমোদনের ক্ষেত্রেও ৫ বছর বোনাস লভ্যাংশ না দেওয়ার শর্ত আরোপ করে কমিশন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিএসইসির বোনাস লভ্যাংশের শর্তের বিষয়টি কনসেন্ট লেটার না দেখে বলা যাচ্ছে না।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে ই-জেনারেশনের লেনদেন শুরু হয়। আজ বুধবার (৩ মার্চ) লেনদেন শেষে কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা। ৭৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লাখ। সর্বশেষ হিসাব বছরের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৭.৩৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬.৪২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২০) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৮ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর’২০) ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৫৩ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৯২ পয়সা।
এর আগে গত বছরের ২১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৫তম নিয়মিত সভায় এ কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ১.৫০ কোটি সাধারণ শেয়ার বিক্রি করে ১৫ কোটি টাকা করে। যা দিয়ে বাণিজ্যিক স্পেস ক্রয়, লোন পরিশোধ, ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্লাটফর্ম উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ নির্বাহ করা হবে।