পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন দর নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (০১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করলে রেকর্ড ডেটের পরবর্তী দরকে সংশোধীত ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর) হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হবে।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের ৭৬১তম নিয়মিত সভায় ঘোষিত বোনাস ও রাইট শেয়ার সমন্বয় পরবর্তী দরকে সংশোধীত ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর) হিসেবে বিবেচনায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতোদিন ফ্লোর প্রাইসের কারণে বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ঠিকমতো সমন্বয় হতো না। কারণ এই ফ্লোরের কারনে বোনাস বা রাইট ইস্যু করা হলেও তা সমন্বয়ের মাধ্যমে কমার সুযোগ ছিল না। তবে সেই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বোনাস ও রাইট শেয়ার পরবর্তী সমন্বিত দরকে সংশোধীত ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বোনাস ও রাইট শেয়ার ঘোষণার রেকর্ড ডেট পরবর্তী ডাইলুশন প্রভাব বিবেচনায় কোম্পানির সমন্বিত মূল্য সংশোধিত ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম বিষয়টি আরও পরিস্কার করে বলেন, ধরা যাক একটা শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৯৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৯০ টাকা।
আবার কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৮৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৮৫ টাকা।
অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করে তাহলে পূর্বের ফ্লোর প্রাইসই বজায় থাকবে। অন্যদিকে বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস থেকে কম হয় তাহলে কম দরটিই নতুন ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।