দেশে সিরামিক পণ্যের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভা এনবিআর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাজুল বলেন, দেশে এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ৬৮টি সিরামিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক কারখানা দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “শ্রম ঘন এই শিল্পটি আমাদের দেশের জন্য অনেক বেশি উপযোগী হলেও এর প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। এই আমদানি পণ্যের উপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে আমরা বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তাই এই খাতের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানাচ্ছি আমি।”
এই খাতে ব্যবহৃত জিরকোনিয়াম সিলিকেট, প্রিন্টিং ইঙ্ক, কাভার কোট, ন্যানো ক্যামিকেলস, ক্যালসিয়ামসহ অনেক ধরনের কাঁচামাল সম্পূর্ণ আমদানির উপর নির্ভরশীল জানিয়ে সিরাজুল বলেন, এসব কাঁচামালের উপর ক্ষেত্রভেদে এখন প্রায় ৯০ শতাং পর্যন্ত নানা ধরনের শুল্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, “এখন অনেক ব্যসায়ী অতিরিক্ত শুল্কায়নের ফলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করছেন। শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক উঠিয়ে দিলে বিশ্বাস অবিশ্বাসের জায়গাটা উঠে যাবে।”
দেশি শিল্পের স্বার্থে বিদেশি সিরামিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ রক্ষা করা এনবিআর এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
“সকল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা প্রত্যেক বাজেটের আগে আলোচনা করি, যাতে দেশের শিল্প উন্নয়নে তাদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।”