1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
ইউনিলিভারের লভ্যাংশে খুশী নন বিনিয়োগকারীরা
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম

ইউনিলিভারের লভ্যাংশে খুশী নন বিনিয়োগকারীরা

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১ মার্চ, ২০২১
unilever

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২৯২ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির এই লভ্যাংশে হতাশ হয়েছে, যার বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার দরে। যে কারণে একদিনেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর কমেছে ২৯৩ কোটি টাকা। গত ১০ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো তিন হাজার টাকার নিচে নেমে এসেছে কোম্পানিটির শেয়ার দর।

‘গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে’ থেকে নাম বদল হয়ে ‘ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার’ নাম ধারণের পর এই প্রথম কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাল।

ইউনিলিভারের কাছে শেয়ার বিক্রির আগে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ২০১৯ সালে বিনিয়োগকারীদের ৫৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগে ২০১৮ সালে ৫৩০ এবং ২০১৭ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। অর্থাৎ, নাম বদলের পর কোম্পানিটির লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ১০০ শতাংশ কমে গেছে।

লভ্যাংশ কমার কারণে সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ইউনিলিভার কনজ্যুমারের শেয়ার দর একশ টাকার ওপরে কমে যায়। শেয়ারের দর কমার ধরা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর ২৪৩ টাকা ৩০ পয়সা কমে ২ হাজার ৮৯৫ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ২৯৩ কোটি ৯ লাখ ১ হাজার ৪১ টাকা। অথচ কিছুদিন আগেও মোটা লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে দেখতে দেখতে ২ হাজার ৪৬ টাকা থেকে কয়েক দফা দর বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর ৩ হাজার ৮৫৯ টাকা পর্যন্ত ওঠে।

হরলিকস, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইন’র মতো পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কনজ্যুমার হেলথকেয়ার ও ফার্মাসিউটিক্যালস দুই ইউনিটের মাধ্যমে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করলেও লোকসান দেখিয়ে ২০১৮ সালে ওষুধ উৎপাদন কারখানা এবং ফার্মাসিউটিক্যালস বিজনেস ইউনিটের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বহুজাতিক কোম্পানিটি।

এরপর সমঝোতার মাধ্যমে গত বছরের ২৮ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে জিএসকের শেয়ার কিনে নেয় ইউনিলিভার। ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ারের প্রতিটি কেনা হয় ২ হাজার ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা করে। শেয়ার কিনে নেয়ায় দুই দিনের মধ্যে নতুন এমডি নিয়োগ দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। সেই সঙ্গে ‘গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বা জিএসকে’ নাম বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেয়া হয় ‘ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার’।

নাম বদল হলেও গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত শেয়ারবাজারে আগের নামেই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছিল। তবে ২৬ নভেম্বর থেকে নতুন নামে লেনদেন শুরু হওয়ার পাশাপাশি ক্যাটাগরিও বদলে যায় কোম্পানিটির। ওষুধ ও রসায়ন খাত থেকে কোম্পানিটি খাদ্য খাতের আওতাভুক্ত হয়।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯ টাকা। এর মধ্যে ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৪ শতাংশ সধারণ বিনিয়োগকারী এবং ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে। আর বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ