1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
আরও তিন কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ এএম

আরও তিন কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
BSEC-DSE-CSE

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আরো তিন কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ফ্যামিলিটেক্স ও সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলসের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বিএসইসি। আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) এসব কোম্পানিতে নতুন পর্ষদ নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ : নতুন পর্ষদের পরিচালকরা হলেন-কাজী ওয়াহিদুল আলম, ড. এম সাদিকুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, মুহাম্মদ ইউনুস ও মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ। কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী ওয়াহিদুল আলম।

এছাড়া, সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে ইউনাইটেড এয়ারের পরিচালনা পর্ষদে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এর ফলে ইউনাইটেড এয়ার সচল হবে এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারে।

কোম্পানিটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে মুনাফা করেছিল ৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১২টি শেয়ার দিয়েছিল। পরের অর্থবছরে ৫৮ কোটি ৭ লাখ টাকা মুনাফা করে কোম্পানিটি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মুনাফা করে ১৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা; লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১০টি শেয়ার দিয়েছিল।

ফ্যামিলিটেক্স: উৎপাদন বন্ধ থাকা বস্ত্র খাতের ফ্যামিলিটেক্সের পর্ষদে ৬ জন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- কাজী আমিনুল ইসলাম, ড. সামির কুমার শীল, ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল, ড. মো. জামিল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ এহসান ও ড. মো. ফরজ আলী। এ ৬ জন পরিচালকের মধ্যে কোম্পানিটির চেয়ারম‌্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী আমিনুল ইসলাম।

এর আগে ফ্যামিলিটেক্সকে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির কোনো উন্নতি হয়নি। এছাড়া, সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালকরা মাত্র ৪.০২ শতাংশ শেয়ার ধারনের মাধ্যমে বিএসইসির সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। অথচ কোম্পানিটির ৭৫.৫৭ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৮.৪১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী শেয়ারধারণ করেও বিগত দুই বছর ধরে কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। এ বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকারক ও কমিশনের কাছে অপ্রত্যাশিত।

কমিশন লক্ষ্য করেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০১২ সালে ফ্যামিলিটেক্সের মুনাফা ৪৩৮ গুণ বেড়েছিল। আর তালিকাভুক্তির সময়ে অর্থাৎ ২০১২ থেকে ২০১৩ সালে মুনাফা বেড়েছিল ৭৬ শতাংশ। কোম্পানিটির এ মুনাফা বৃদ্ধির এর ধারাবাহিকতা কেবল ২০১৪ সাল পর্যন্ত বজায় ছিল। আর ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানির মুনাফা অস্বাভাবিকভাবে কমতে থাকে। ওই সময়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিল মোহাম্মদ মোর্শেদ এবং চেয়ারম্যান রোকসানা আরা। তারা কোম্পানিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কোম্পানিটির নিট মুনাফা আকস্মিকভাবে কমতে থাকে।

প্রসঙ্গত, ফ্যামিলিটেক্সের উৎপাদন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৩ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। ওই বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়। ঠিক পরে বছর ২০১৪ সালে কোম্পানিটি মাত্র ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এরপর ২০১৫ সালের কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আর ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোম্পানি মাত্র ৫ শতাংশ করে বোনাস লভ্যাংশ দেয়েছে বিনিয়োগকারীদের। আর ২০১৯ ও ২০২০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। যার ফলে কোম্পানিটির ২০১৯ সাল থেকেই ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। আর তালিকাভুক্তির পর থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো নগদ লভ্যাংশ দেয়নি।

সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস: এই কোম্পানিতে সাতজন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি। তারা হলেন-নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ, ড. মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ,ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম, ড. রেজওয়ানুল হক খান, এবিএম আশরাফুজ্জামান,ড. তৌফিক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসান।

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ