কোভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পোশাক কারখানা মালিকদের নেওয়া ঋণ পরিশোধের সময় আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ-বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়ে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে আরও ৬ মাস সময় প্রদান করা যেতে পারে। মোট ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া ১৮টি কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকতে হবে।
চলতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্যাক্টরি মালিকদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এর আগে গেল বছর করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম প্যাকজটি ছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার। এই প্যাকজ থেকে নেয়া ঋণের কোন সুদ ছিল না, শুধু ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে।
তবে প্রয়োজনের তুলনায় এই ঋণ কম হওয়ায়, আরো সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা এর সাথে যোগ করা হয়। তবে এই সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা থেকে নেয়া ঋণের সুদ ধরা হয়েছে ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে তৈরি পোশাকখাতের বেতন-ভাতার জন্য প্যাকেজের আকার ১০,৫০০ কোটি টাকার।
দ্বিতীয় প্যাকেজটি ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) প্যাকেজ। এই প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণের সুদহারও ধরা হয়েছে ৪ শতাংশ। বেতনভাতার জন্য পরবর্তীতে যে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে- তা এই প্যাকেজ থেকেই দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধানখাত তৈরি পোশাক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সরাসরি ৪০ লাখ শ্রমিক এখাতে যুক্ত আছেন। রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে এখাত থেকে।
তবে করোনার প্রভাবে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পোশাক খাতের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৪৪ শতাংশ কমেছে।