সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো সম্পদের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত স্থায়ী বা চলতি আমানত হিসেবে ‘এ’ ক্যাটাগরির তফসিলি ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে পারবে। তবে শর্ত হলো একটি ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতের পরিমাণ সম্পদের ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। এমন বিধি রেখে ‘সাধারণ বীমা কোম্পানির সম্পদ বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ প্রবিধানমালা ২০১৯’ চূড়ান্ত করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
এ প্রসঙ্গে আইডিআরএ’র সদস্য ড. এম. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রবিধানমালাটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ বীমা খাতের বিনিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি জানান।’
নতুন প্রবিধানমালা অনুযায়ী, ‘এ’ ক্যাটাগরির আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সম্পদের ১০ শতাংশ আমানত হিসেবে রাখা যাবে। তবে এক্ষেত্রে কোন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সম্পদের ২ শতাংশের বেশি স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা যাবে না। এছাড়া কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে শর্ত সাপেক্ষে সম্পদের ২০ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে সাধারণ বীমা খাত।
প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির অগ্রাধিকার বা সাধারণ শেয়ারে সম্পদের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো। এছাড়া সম্পদের ১৫ শতাংশ ডিবেঞ্চারে এবং মিউচুয়াল ও ইউনিট ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে সম্পদের ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
নতুন প্রবিধানমালা অনুযায়ী, সম্পদের কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করতে হবে সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইস্যুকৃত বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে সম্পদের ১৫ শতাংশ। এছাড়াও সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন সিটি করপোরেশন কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চার বা অন্যান্য সিকিউরিটিজে সম্পদের ৫ শতাংশ পর্যন্ত এবং অন্যান্য প্রকারের সম্পত্তিতে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে সম্পদেও ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারবে জীবন বীমা খাত।
প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় অথবা কোন পৌরসভায় অবস্থিত দায়হীন স্থাবর সম্পত্তিতে সম্পদের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো। তবে সম্পত্তি আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হলে সম্পদের ২ শতাংশ এবং দাপ্তরিক বা দোকান হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া প্রদান করা হলে সম্পদের ৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস