পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বোনাস ও রাইট শেয়ার সমন্বয় করে পরবর্তী দরকে সংশোধীত ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দর) হিসেবে বিবেচনায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের ৭৬১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে প্রতিষ্ঠানটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আজ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমে ফ্লোর প্রাইসের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মো: রেজাউল করিম বলেন, ধরা যাক একটা শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৯৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৯০ টাকা।
আবার কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০০ টাকা, ফ্লোর প্রাইস রয়েছে ৮৫ টাকা। এখন ১০ শতাংশ বোনাস দেওয়ায় কোম্পানিটির থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর দর দাঁড়ালো ৯০ টাকা। তখন কোম্পানিটির পরবর্তী ফ্লোর প্রাইস দাঁড়াবে ৮৫ টাকা।
অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করে তাহলে পূর্বের ফ্লোর প্রাইসই বজায় থাকবে। অন্যদিকে বোনাস লভ্যাংশ বা রাইট শেয়ার ইস্যুতে থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের পর যে দর নির্ধারণ হবে তা যদি ফ্লোর প্রাইস থেকে কম হয় তাহলে কম দরটিই নতুন ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচিত হবে।