পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২স সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
আগামী ২১ মার্চ ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানিটির সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ মার্চ।
মুনাফা করলেও সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ না দেয়ার প্রসঙ্গে কোম্পানি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির নিয়মানুসারে ১ বছর লভ্যাংশ না দিলেও স্টক এক্সচেঞ্জে ক্যাটাগরি অবনমন হবে না। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে কোম্পানির রিজার্ভ আরো শক্তিশালী হবে। তাছাড়া পুঁজিবাজারে আসার কারণে রবি সরকারের কাছ থেকে বেশকিছু কর প্রণোদনা পাবে। ফলে সব মিলিয়ে চলতি হিসাব বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ভালো পরিমাণে লভ্যাংশ দিতে পারবে কোম্পানিটি। মূলত এ কারণেই ২০২০ সালের জন্য লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।
দেশের পুঁজিবাজারে গত ২৪ ডিসেম্বর রবির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪১তম কমিশন সভায় রবিকে ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করছে রবি। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৫১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও বাকি ৮ কোটি ২ লাখ টাকা আইপিওর ব্যয় নির্বাহ খাতে খরচ করবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রবি শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা। লেনদেন শুরুর পর এখন পর্যন্ত শেয়ারটির দর ১৫ টাকা থেকে ৭৭ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
রবির অনুমোদিত মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ২৩৬ কোটি ২ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৫। এর ৯০.০৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২.০৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭.৯২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।